স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারি : স্কুল ছাত্রীর অবিভাবক কর্তৃক শারিরীক নিগ্রহের শিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ঘটনায় উত্তেজনা চুড়াইবাড়ি থানাধীন চাঁন্দপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিদ্যালয়ে দেরিতে আসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি এক ছাত্রীকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্রীর অবিভাবক কর্তৃক শারিরীক নিগ্রহের শিকার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুড়াইবাড়ি থানাধীন চাঁন্দপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযুক্ত মহিলাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জানা গেছে, সোমবার সকালে চাঁন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শুরু হয়।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর বিদ্যালয়ে আসে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী পূজা নাথ, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রুপালি বিশ্বাস,অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইমরাজ হুসেন ও সফিক আলম। তখন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ দাস তাদেরকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে বাঁধা দিলে ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ এদিন সকাল আনুমানিক সোয়া এগারোটা নাগাদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার কক্ষে বসে বিদ্যালয়ের কাজ করছিলেন ঠিক তখন স্কুল ছাত্রী পূজা নাথের মা সুমতি বর্ধন শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে প্রথমে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার চেষ্টা করেন। এতে প্রধান শিক্ষক বাঁধা দিলে অভিযুক্ত অভিভাবক জুতো হাতে নিয়ে মারতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তড়িঘড়ি খবর যায় স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কাছে।পরবর্তীতে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাথে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ।এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ দাস জনান, তাঁর সাথে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।
প্রতিটি স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের সাথে পূজা নাথকেও তিনি ততোটা স্নেহ করেন ও পড়াশোনার জন্য গাইড করেন। স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির রেজুলেশন আকারে একটি আইন নির্ধারণ হয়, যথাসময়ের পর ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসলে তাদেরকে বিদ্যালয় প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়।তার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এই চারজন স্কুল ছাত্রছাত্রীকে বিদ্যালয়ের প্রবেশে বাধা দেন। তাছাড়া এদিন স্কুলে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষাও ছিল। এই ঘটনায় এদিনের পরিক্ষায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। অপরদিকে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোতাইর আলী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ধর্মনগর থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তারাও গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি তুলেছেন। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসেন বিদ্যালয় পরিদর্শক তথা ধর্মনগর বির বিক্রম ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রঞ্জু শর্মা। তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।