স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক , আগরতলা। ৮ ফেব্রুয়ারি : শ্বশুরবাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ এক তরুণী গৃহবধূ। ঘটনা আগরতলা পুর নিগমের ৫১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। গৃহবধূর নাম পারমিতা দাস। বয়স ২১ বছর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জু ঘোষ। তরুণী গৃহবধুর মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ চার বছর আগে সঞ্জয় ঘোষের সাথে পারমিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারমিতার সন্তান না হওয়ায় পারিবারিক ঝামেলা দিন দিন বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে পারমিতা তার মাকে গোটা বিষয় জানায়। পারমিতার মা মেয়েকে দেখতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গেলে মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য সুযোগ পেত না।
এমনকি মা ও মেয়েকে ফোনে পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ দিতো না শশুর বাড়ির লোকজন। এরই মধ্যে শনিবার সকাল বেলা পারমিতা তার মাকে ফোন করে জানায় তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, নাহলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলবে। খবর শুনে সাথে সাথে এক ঘন্টার মধ্যে মেয়ের বাড়িতে ছুটে আসে পারমিতার মা। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে গেট বন্ধ পায়। তারপর দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করার পর দেবর মশাই গেট খুললেও পারমিতাকে পায়নি তার মা। জামাতার কাছ থেকে জানতে পারে পারমিতা পালিয়ে গেছে। সাথে সাথে কান্নায় ভেঙে পড়ে পারমিতার মা। তারপর পারমিতার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পাগল বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয় পারমিতা মাকে। মেয়েকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পূর্ব মহিলা থানায় ছুটে আসেন পারমিতার মা। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ পারমিতার শাশুড়ি সন্ধ্যা রানী ঘোষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু স্বামী এবং দেবর মোবাইল ফোনের সুইচ অফ করে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযোগ। পারমিতা মায়ের আশঙ্কা তার মেয়েকে খুন করে লুকিয়ে রেখেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এদিকে গৃহবধূর ননদের দাবি, তার ভাইয়ের স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে গেছে। তারপর থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেছে তার ভাই অর্থাৎ গৃহবধূর স্বামী। এখন ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ।