স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা , ৭ ফেব্রুয়ারি : বুধবার দুপুরে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে অমৃতসরের শ্রী গুরু রামদাসজি বিমানবন্দরে অবতরণ করে মার্কিন সেনাবাহিনীর সি-১৭ বিমান। বিমানটি মঙ্গলবার টেক্সাস থেকে রওনা দিয়েছিল। এই অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ২৫ জন মহিলা এবং ১২ জন নাবালকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কনিষ্ঠতম সদস্যের বয়স চার বছর। তাঁদের অনেককে হাতকড়া-শিকল পরিয়ে বিমানে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর তীব্র বিরোধিতা করে শুক্রবার আগরতলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করল প্রদেশ কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেস ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলের অগ্রভাগে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। প্রদেশ সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, আমেরিকার এ ধরনের ভূমিকা দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চুপ থাকাটা এতটা নির্লজ্জ এবং ভীরুতার পরিচয় সেটা দেশবাসী আগে কখনো দেখেনি। তাই দেশবাসী দাবি করছে যথেষ্ট হয়েছে। আর মাথা নত করা যায় না। বিশ্বের কলম্বিয়া এবং মেক্সিকোর মতো ছোট দেশ গুলি পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চোখে চোখ রেখে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত রেখেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য ভারতীয়দের উপর এভাবে নির্যাতন কোনভাবেই মানতে পারছে না কংগ্রেস। তিনি নরেন্দ্র মোদীকে কাপুরুষ বলে আরো বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘটনা করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে কথাও বলেছিলেন।
কিন্তু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কার্যকলাপে ভারতবাসী আজ অত্যন্ত ব্যথিত। তাদের সাধারণ জ্ঞান টুকু পর্যন্ত নেই বলে দাবি করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। আরো বলেন, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং -এর সরকারের সময় আমেরিকায় ভারতীয় এমবিসিদের অপমান করা হয়েছিল, পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পরবর্তী সময়ে আমেরিকা ভারতের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে। আর সেই জায়গায় আজ ভারতীয়দের মূল্য নেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। একটি তীব্র নিন্দা জানায় কংগ্রেস। মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুলিকা পুড়ানো হয়।