স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা , ৪ ফেব্রুয়ারি : পর পুরুষকে ভালোবেসে বিয়ে করার অপরাধে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত গৃহবধূ এবং তার স্বামী। ঘটনা বিশ্রামগঞ্জ ননজলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায়।
গৃহবধুর কাছ থেকে জানা গেছে, গৃহবধূ বিশ্রামগঞ্জ ননজলা স্কুল সংলগ্ন এলাকার যুবক বাপন মিয়াকে ভালোবেসে বিয়ে করে গত ডিসেম্বর মাসে। বাপন মিয়া এবং গৃহবধূ কোর্ট ম্যারেজও করে নেয়। তারপর গৃহবধূ তার স্বামী বাপন মিয়ার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। যদিও বাপন মিয়া আগেও বিয়ে করেছিল।
তার আগের স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। বাপন মিয়ার আগের স্ত্রী এবং ছেলে মেয়ে বর্তমানে প্রায় বছরখানেক ধরে বাপন মিয়ার বাড়িতে থাকে না। সে বাপের বাড়িতে থাকে। এরই মধ্যে গৃহবধূর সঙ্গে প্রনয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে বাপন মিয়ার। এবং তারা দুজনে কোর্ট ম্যারেজ করে একসঙ্গে বাড়িতে থাকতে শুরু করে। আচমকা গ্রামের পুরুষ এবং মহিলা মিলে বেশ কয়েকজন সোমবার রাতের বেলায় তাদের বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ এবং বাপনকে প্রচন্ডভাবে মারধর করতে থাকে। বাপনের শরীরে লাঠির আঘাতে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে।
স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রমিলা বাহিনীদের হাতে মার খেতে হয়েছে গৃহবধূকেও। কোনরকমে গৃহবধূ তাদের হাত থেকে পালিয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানায় ছুটে এসে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে এবং তার স্বামীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কাতর আবেদন করে। অথচ বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ স্বামী-স্ত্রী কাউকে নিরাপত্তা প্রদান করেনি। বোন এবং বোনের জামাইকে মারধর করছে। বোন তার জন্য এবং তার স্বামীর জন্য নিরাপত্তা চাইতে থানায় ছুটে এসেছে। এই খবর পেয়ে বিলকিস বেগমের ভাই রবিন হোসেন দৌড়ে ছুটে যায় বিশ্রামগঞ্জ থানায় এবং সেও তার বোন এবং বোনজামাই -র জন্য নিরাপত্তা চায় পুলিশের কাছে। কিন্তু সেরা থানার পুলিশ বাবুরা তাদেরকে নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টো রবিন হুসেন কেন মাথায় হেলমেট না দিয়ে থানায় এসেছে বাইক নিয়ে এই অপরাধে ভাই, বোন দুজনকে আটকে রাখে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। এমনটাই জানান আক্রান্ত বাপন মিয়া।