স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা , ২ ফেব্রুয়ারি: শনিবার রাতে নাশকতার আগুনে পুড়লো বাম সমর্থক তথা অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান নারায়ণ দেবনাথের বাড়ি। অভিযোগ উঠল শাসকদের বিরুদ্ধে। ঘটনা আগরতলা গোর্খাবস্তি এলাকায়। রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণ দেবনাথের বাড়ি পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুদীপ সরকার সহ সিপিআইএমের এক প্রতিনিধি দল। এদিন প্রতিনিধি দলটি ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণ দেবনাথের সাথে কথা বলে ঘটনার সম্পর্কে অবগত হন। পরে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, নরায়ণ দেবনাথ একজন প্রাক্তন আর্মি। নারায়ণ দেবনাথের দোষ হল তিনি সিপিআইএমের একনিষ্ঠা কর্মী।
তাই ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে তার বাড়িতে শাসক দল বিজেপির দুর্বৃত্তরা লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তাকে ঘরছাড়া করে রেখেছে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা। এবং এই দুর্বৃত্তরা সকলেই এলাকার। এর মধ্যে রয়েছেন একজন প্রভাবশালী নেতা। বর্তমানে তিনি বড় সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। তার এক শ্রীমান এই অপরাধমূলক কার্যকলাপে যুক্ত। তাদের একটাই প্রশ্ন কেন তিনি এলাকায় সিপিআইএমের হয়ে কাজ করেন? তাই তারা এই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে। এ বিষয়ে আক্রান্ত নারায়ণ দেবনাথ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং আর্মির সর্বোচ্চ আধিকারিক এর কাছে চিঠি লিখে অবগত করেছেন। তারপর রাজ্য পুলিশের ডিজি -কে প্রধানমন্ত্রী অফিস এবং আর্মির আধিকারিক নির্দেশ দিয়েছেন যাতে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সুচারুভাবে করা হয়।
পাশাপাশি যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের সাথে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দুঃ ভাগ্যের বিষয় ত্রিপুরা সরকার এবং তার আরক্ষা দপ্তর নারায়ন দেবনাথের নিরাপত্তা বিধান করতে পারেনি। ২০২৩ সাল থেকে নারায়ণ দেবনাথকে ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে থাকতে হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ চালিয়ে নারায়ণ দেবনাথের সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু এভাবে বেশি দিন চলবে না সেটা বুঝতে পেরে শনিবার রাতে আবার এই সমাজ দ্রোহী ও তাদের মাতব্বররা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায় ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা কতটা অবনতি হয়েছে। যারা আইন কামিনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলেছে তারা কেউই ধরা পড়ছে না। আর এটাই আইনশৃঙ্খলার পরিষ্কার দৃশ্য। যা মন্ত্রিসভার এক সদস্য বিভিন্ন সময় বলে চলেছেন, এরই উদাহরণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা।