স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি : গৃহবধূর খুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হলেন গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন। মৃত গৃহবধুর নাম হৈমন্তী সিংহ বর্মন। ঘটনা গত ২০ ডিসেম্বর মেলাঘর মাস্টার পাড়া এলাকায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ গত ২০ ডিসেম্বর মেলাঘর মাস্টারপাড়া এলাকার গৃহবধূ তথা শিক্ষিকা হৈমন্তী সিংহ বর্মনকে তার স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মন এবং তার ভাসুর মানস বর্মন ও ভাসুরের স্ত্রী ঝুমা কর বর্মন মিলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় গৃহবধুর।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বহুবার মেলাঘর থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। অথচ মেলাঘর থানার ওসি দেবাশীষ সাহা এবং এক মহিলা পুলিশ কর্মী তাদের অভিযোগ থানায় রাখতে চান নি। বরং হাসির খোরাক করে তাদের প্রশ্ন করেন কিভাবে খুন করেছে তা তারা প্রত্যক্ষ করেছে কিনা? এমনকি ওসি ও মহিলা পুলিশ কর্মী তাদের কাছ থেকে প্রথমে ইংরেজিতে লেখা মামলা গ্রহণ করতে চাননি। পরবর্তী সময়ে বাংলাতে মামলা লিখে আনতে বলেন। বাংলাতে মামলা লিখে আনার পর পুলিশ তাদের প্রশ্ন করে গৃহবধুর জবানবন্দি তারা হাসপাতালে করেছে কিনা? শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে মানব অধিকার কমিশনে এসে অভিযোগ জানায় গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তাদের দাবি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে যাতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে। পাশাপাশি পুলিশের চরম গাফিলতি পেছনে মূলত কি অদৃশ্য কারণে রয়েছে সেটা যাতে উন্মোচন করা হয় তার দাবি করেছেন তারা। তবে উল্লেখ্য, পুলিশের দায়িত্ব অভিযোগ অনুযায়ী মামলার তদন্ত করা। জনগণের অর্থ দিয়ে মাসোয়ারা গুনে মজ মস্তি করার জন্য রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পোশাক তাদের পরিধান করার অধিকার দেয় নি রাজ্যের জনগণ। এখন দেখার বিষয় ঘটনার কতটা সুষ্ঠু তদন্ত হয়।