স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৩ জানুয়ারি : নেশা সামগ্রী ব্যবহারের ফলে রাজ্যের ছাত্র ও যুব সমাজে ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস ও বিধায়ক নয়ন সরকার নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গঠনে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে আনিত দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিসের উপর বিবৃতি দিতে গিয়ে এমনটা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি আরও বলেন রাজ্যে ব্যাপক ভাবে নেশা বিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এই অভিযানের ফলে বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হচ্ছে। একই সাথে নেশা কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া এনডিপিএস মামলার সংখ্যা, গ্রেপ্তারের সংখ্যা সহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এইডস-এর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রতি বছর রাজ্য স্তরে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জাতীয় এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে রাজ্যে সর্ব মোট ৭ হাজার ৭০৭ জন এইডস আক্রান্ত রোগী ছিল। ২০২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ৯৪৩ জনে গিয়ে দাড়ায়। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ১০ হাজার ১২৬ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন ২০১৮ সালের আগে ত্রিপুরা রাজ্য নেশা যুক্ত ছিল। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নেশার বিরুদ্ধে আপোষহীন নীতি নিয়ে কাজ করছে আরক্ষা প্রশাসন।