স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৩ জানুয়ারি : নিখোঁজ হবার চব্বিশ দিন পর নাবালিকাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ। নাবালিকা নিখোঁজ কান্ডে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ধৃত যুবককে কৈলাসহর আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে কৈলাসহর মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি পম্পি নাথ বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর কৈলাসহর মহিলা থানার অন্তর্গত পাইতুরবাজার এলাকার এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়।
নাবালিকা আঠারো ডিসেম্বর নিখোঁজ হলেও ২০ ডিসেম্বর নাবালিকার বাবা কৈলাসহর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। নাবালিকার মোবাইল ট্রেক করে অবশেষে চব্বিশ দিন পরে পুলিশ জানতে পারে পশ্চিম জেলার সিধাই থানার অন্তর্গত তুলাবাগান এলাকায় নাবালিকাটি রয়েছে। কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ রবিবার সিধাই থানায় গিয়ে সিধাই থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে তুলাবাগান এলাকা থেকে গভীর রাতে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। নাবালিকার সাথে সুবর্ন দাস নামে এক যুবককেও আটক করে কৈলাসহরের মহিলা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ নাবালিকাকে কৈলাসহর এনে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নাবালিকার মেডিকেল করায়।
মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি পম্পি নাথ এও জানান যে, কৈলাসহর মহিলা থানার অন্তর্ভুক্ত ভাগ্যপুর এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত দাসের বাইশ বছরের ছেলে সুবর্ন দাস নাবালিকাকে জোর করে পালিয়ে নিয়ে সিধাই থানাধীন তুলাবাগান এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে দুজন একসাথে থাকতো। পনেরো বছরের নাবালিকার সাথে সুবর্ন দাসের প্রনয় ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে। নবম শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকা ১৮ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে স্কুলে এসে আর বাড়িতে ফেরেনি। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুবর্ন দাস নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সুবর্ন দাস প্রথমে নাবালিকাকে নিয়ে কৈলাসহর থেকে উত্তর জেলার পানিসাগরের এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে কিছু দিন থেকে, এরপর ধলাই জেলার মাছলি এলাকায় এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে ফের কয়েকদিন কাটিয়ে পশ্চিম জেলার সিধাই থানাধীন তুলাবাগান এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকতে শুরু করে। তুলাবাগান এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবর্ন দাসের এক নিকট আত্মীয় সাহায্য সহযোগিতা করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।