স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১১ জানুয়ারি : উপপ্রধানের বেআইনি কার্যকলাপে বাধা দেওয়ায় দোকান থেকে যুব মোর্চা সদস্যকে টেনে নিয়ে মারধর করলেন বলে অভিযোগ। ঘটনা ধর্মনগর কদমতলা সড়কের নতুন বাজার এলাকায়। আক্রান্ত যুব মোর্চার নেতার নাম মৃনাল কান্তি দাস। অভিযুক্ত উপপ্রধানের নাম রবীন্দ্র দাস এবং তার সাথে জড়িত উৎপল দাস, পরিমল দাস বলে অভিযোগ আক্রান্ত যুব নেতার। তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে তার পেছনে শত্রুতা করছে অভিযুক্ত পশ্চিম প্রত্যেকরায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তিনি বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের সাথে জড়িত।
শুধু তাই নয়, এলাকায় ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। রাতের বেলা মানুষের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে মারধর করে। গত কয়েকদিন আগে নিরিহ এক যুবকের বাড়িতে প্রবেশ করে মারধর করেছে অভিযুক্ত। আক্রান্ত যুবনেতা মৃনাল কান্তি দাসের দোকানটি এলাকা থেকে তুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করছিল। কোনভাবে সম্ভব না হওয়ায় আজকে তাকে দোকান থেকে তুলে এনে মারধর করে। পরবর্তী সময়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা নিয়ে আসে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। মৃনাল কান্তি দাসের বাড়ি নয়াপাড়া এলাকায়।
এ ধরনের ঘটনা স্পষ্ট করে বিজেপি -র হাতেই মার খাচ্ছে বিজেপি। দলীয় শাসন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মন্ডল ওয়ার্ড এবং বুথ স্তরে কেউ কেউ কথাই শুনছে না। দলীয় হাই কমান্ড একেবারে চোখে কালো কাপড় বেঁধে বসে আছে। ফলে সরকারের সুশাসনকে দুঃশাসন গড়ে তুলছে খুদ দলের নেতৃত্ব। এক প্রকার ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দলের প্রকৃত কর্মীরা। কেউ কেউ দলীয় নেতৃত্বকে কোন কিছু না জানিয়ে ঘরে বসে গেছেন। এলাকা থেকে কোন ধরনের কর্মসূচি সংগঠিত হবে তাদের দেখা মিলছে না। কারণ কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে রাজনীতিতে সামিল হতে চাইছে না দলের সচেতন কর্মীরা। এদিকে বোধগম্য নেই দলের হাই কমান্ডের।