স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১১ জানুয়ারি : কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বন্যা দুর্গতদের কোন ধরনের সহযোগিতা করা হবে না। রাজ্য সরকারের যে অর্থ আছে তা দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এখন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা অধিবেশনের বলেছেন সাত হাজার কোটি টাকা সহযোগিতা পেয়েছে রাজ্য। কিন্তু সারা ভারত কৃষক সভা দাবি করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে কোন ক্ষেত্রে কত টাকা ব্যয় হয়েছে সেই বিষয়টি রাজ্যবাসী সামনে আনার জন্য। এবং আগামী দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসকের কাছে যাবে সারা ভারত কৃষক সভার একটি প্রতিনিধি দল।
জেলা শাসকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে কোথায় কত টাকা কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে? শনিবার সারা ভারত কৃষক সভার অফিসের সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান সংগঠনের সম্পাদক পবিত্র কর। তিনি বলেন, বন্যায় দুর্গত কৃষকদের এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করা হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গত তিন মাসে একাধিকবার দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যস্ততা দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেননি। তিনি আরো জানিয়েছেন, কৃষকদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গত শুক্রবার এক সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় আলোচনার মধ্যে যে সকল বিষয়গুলো উঠে এসেছিল সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার অস্বাভাবিক হারে সারের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন বাতিল করার পর ঘুরিয়ে এগ্রিকালচার মার্কেটিং নামে আরেকটি অধ্যাদেশ তৈরি করেছে। যার তীব্র বিরোধিতা করেছে সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী কর ধান ক্রয় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন।
তিনি বলেন এবছর পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদন না হলেও সরকার প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান করে করছে না। সরকারিভাবে ধান ক্রয় করলে যে অর্থ দেওয়া হয় তা অত্যন্ত কম বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন কেরল সরকার কৃষকদের কাছ থেকে দান ক্রয় করে ২৯ টাকা কিলোতে। সে অনুযায়ী ত্রিপুরার কৃষকদের অনেক কম মূল্য দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে বলেন, মন্ডল ঠিক থাকলে গ্রামীন ফরিয়াদের সমস্যা হয় না। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নেতা রতন দাস সহ অন্যান্যরা।