স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জানুয়ারি : আগামী ১১ জানুয়ারি ত্রিপুরা উপজাতি গণ মুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজভবন অভিযান করবে। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত জনজাতিদের যে এত উন্নয়ন হবে তা আগে কখনো আশা করা যায়নি।বুধবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে প্রদেশ জনজাতি মোচ্চার পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি বিমল চাকমা।
তিনি জনজাতিদের উন্নয়নের প্রসঙ্গে বলেন, ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন করেছে, আগরতলা বিমান বন্দরের নাম সিঙ্গার বিল থেকে পরিবর্তন করে এমবিবি বিমানবন্দর করা হয়েছে, ১৯ আগস্ট মহারাজা বীর বিক্রমের জন্মদিন উদযাপন করা, গড়িয়া পূজা বৃদ্ধি করে দুদিন করা, মুখ্যমন্ত্রী রাবার মিশন থেকে জনজাতিদের বাড়তি সম্মান প্রদান করেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। এছাড়াও পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন বেনী চন্দ্র দেববর্মা, থাংঙ্গা দারলং, সত্যরাম লিয়াং, এন সি দেববর্মা, বিক্রম বাহাদুর জামাতিয়া, চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, তরুবালা দেববর্মা। ত্রিপুরা রাজ্যে এই জনজাতিরা পদ্মশ্রী পাওয়া সম্ভব হয়েছে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত আছে বলে। কিন্তু আগের সিপিআইএম এবং কংগ্রেস সরকারের আমলে ত্রিপুরায় জনজাতি আছে কিনা সেটাই চিন্তা করেনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বড়মুড়াকে হতাইকাতর করেছে, গন্ডাছড়াকে গন্ডাতৈছা সহ বেশ কিছু জায়গার নাম পরিবর্তন করে জনজাতিদের আবেগের গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তিনি বিরোধী দল সিপিআইএমের সমালোচনা করে বলেন, সিপিআইএম দাবি করছে, বর্তমান সরকারের আমলে জনজাতিদের কোন উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু রাজ্যের জনজাতিদের জন্য বিভিন্ন হোস্টেল সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে তা আগে কখনো চিন্তা করা যায়নি। এগুলি স্তব্ধ ছিল আগে সরকারের আমলে। দলমত নির্বিশেষে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। তাই জিএমপি যে আন্দোলনে নামতে চাইছে সেটা অপব্যবহার ছাড়া আর কিছু নয়। এমনটাই দাবি করলেন তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, জনজাতি মোর্চার সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ দেববর্মা।