স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জানুয়ারি : শাসক দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। সুমিত্রা সরকার নামে এক অসহায় মহিলার জমি জবর দখল করে এক মহিলাকে ভাড়া দিয়ে রাতের বেলা পুরুষ, মহিলার আসর বসাচ্ছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ইন কাউন্সিলর উদয় ভাস্কর চক্রবর্তী। ঘটনা রাজধানীর ডুকলি লোটাস ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে সহযোগিতা করছেন কানু বণিক নামে এক রাষ্ট্রবাদী নেতা।
অভিযোগকারী সুমিত্রা সরকারের অভিযোগ, তিনি সারা জীবন অত্যন্ত কষ্ট করে ধার দেনা নিয়ে এই বাড়িতে ক্রয় করেছিলেন। শেষ বয়সে মাথা গুজার একটি সম্বল এটা। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বাড়িতে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। ভাড়াটিয়া উঠে যাওয়ার পর আচমকা একদিন এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পান স্থানীয় কাউন্সিলর উদয় ভাস্কর চক্রবর্তী এবং বিজেপি নেতা কানু বণিক দুজন তার বাড়িতে এক মহিলাকে ভাড়া দিয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখেন এক অপরিচিত মহিলা তার বাড়ি দখল করে বসে আছে। সাথে সাথে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলার পর জানতে পারেন স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এই মহিলা বাড়িতে ভাড়া এসেছেন। তারপর বহুবার মহিলাকে বাড়ি থেকে উঠে যাওয়ার কথা বললে তিনি রাজি হন না। তারপর কাউন্সিলরের সাথে কথা বললে তিনি সেই মহিলাকে পরিচয় দেন তার মাসি হিসেবে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেই ভাড়াটিয়া মাসি এবং তার বোনের ছেলে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। কারণ অভিযোগ প্রতিদিন রাতের বেলা দূর-দূরান্ত থেকে বহিরাগত কিছু পুরুষ মহিলা বাড়িতে নিয়ে এসে আসর বসায় অভিযুক্ত কাউন্সিলার এবং বিজেপি নেতা কানু বণিক। তাদের কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ প্রতিনিয়ত অভিযোগ করে চলেছেন সুমিত্রা সরকারের কাছে। তিনি বর্তমানে ডুকলি বাজার সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। কিন্তু তার কথা শুনছে না অভিযুক্ত কাউন্সিলার। অবশেষে তিনি বুধবার সকালে আগরতলা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কিভাবে বাড়ি জবর দখল করে রাতের বেলা আসর চালানোর কারণে ওনার বদনাম হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরকার যাতে কঠোর আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের এলাকার বড় নেতা হিসেবেও পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র, এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে বহু নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে দুই রাষ্ট্র বাদি ছবি সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে। নেতা মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে সেই ছবিকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় তারা সুশাসনের নামে দুঃশাসন চালাচ্ছে। মানুষ তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এলাকায় কান পাতলে এমনটাই অভিযোগ শোনা যায়।