স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জানুয়ারি : সিপাহীজলা জেলা হাসপাতাল নির্মাণে বাধা, অনৈতিকভাবে সরকারি আধিকারিকদের ঘেরাও করলো ননজলা বাঁশতলী এডিসি ভিলেজের রামদাস পাড়া এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে অনৈতিক ভাবে ক্ষতিপূরণ, সরকারি চাকরি সহ একাধিক দাবি তুলেছেন বেআইনিভাবে সরকারি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে রাবার চাষ করা পরিবারগুলো। জানা যায় ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে সিপাহীজলার জেলায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হবে জেলা হাসপাতাল। বুধবার সিপাহীজলা জেলা শাসকের নির্দেশে নলজলা বাঁশতলি এডিসি ভিলেজের রামদাস পাড়ায় বিশ্রামগঞ্জ রেভিনিউ সার্কেলের ডিসিএম সৌরদ্বীপ দেবনাথ সহ আধিকারিকরা সেই সরকারি জমিতে হাসপাতাল তৈরী করতে পরিদর্শনে যান। আর তখনই জনজাতি পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারি চাকরি সহ বিভিন্ন দাবিতে আধিকারিকদের ঘেরাও করে।
এদিকে ডিসিএম তাদের আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের গোচরে নেবে। কিন্তু দ্রুত সেই জায়গার খালি করতে হবে। অন্যদিকে উত্তেজিত পরিবারগুলো মানতে নারাজ এবং তারা জেলা হাসপাতাল নির্মাণে বিভিন্নভাবে বাধা তৈরি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ডি সি এম জানান, জেলা শাসকের নির্দেশে তিনি পরিদর্শনে এসেছেন। জমিটি সম্পূর্ণ খাস জায়গায় রয়েছে। তাই প্রশাসন তার নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে। তবে এদিন ঘটনাস্থলে এলাকার এক নেতা হরিনাথ দেববর্মা এসে বলেন, তারা নাকি সেখানেকার ভূমিপুত্র। তারপরও জ্ঞানহীনতার কারণে তারা এখনো ভূমিহীন। তাই দাবি করা হচ্ছে কেউ যাতে উচ্ছেদ না হয়। প্রয়োজনে হাসপাতাল অন্যথায় করার জন্য দাবি করলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, তাদের উচ্ছেদ করে এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। সুট কোট পড়া এলাকার নেতার এমনটাই স্পষ্ট জানালেন। তবে এভাবে উন্নয়নের বাধা হয়ে অজ্ঞাত কারণ তুলে ধরা সরকারের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটাই এখন বড় বিষয়। কারণ এলাকার হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারের লাভা লাভের কথা চিন্তা করে গোটা জেলাবাসীকে সমস্যায় ফেলতে চলেছে এই এলাকার মানুষ। এতে কোন দ্বিধা নেই।