Friday, April 26, 2024
বাড়িরাজ্যত্ৰিপুরায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে আক্রান্ত শূকর, দেবীপুর খামারে গণ-নিধনের আয়োজন

ত্ৰিপুরায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে আক্রান্ত শূকর, দেবীপুর খামারে গণ-নিধনের আয়োজন


আগরতলা, ১৮ এপ্রিল (হি.স.) : ত্রিপুরায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার থাবা বসিয়েছে। সোয়াইন ফিভারে সিপাহিজলা জেলার দেবীপুর খামারে শূকরের মড়ক শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ল্যাব রিপোর্ট এসে গেছে। ওই রিপোর্টে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার নিশ্চিত হয়েছে। ফলে, শূকরের গণ-নিধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চিঠি পাওয়ার পর শূকরের গণ-নিধন শুরু হবে। প্রাণী কল্যাণ দফতরের আধিকারিকের কথায়, দেবীপুর খামার সহ পার্শ্ববর্তী পাঁচটি গ্রামের সমস্ত শূকর নিধন করা হবে।


ওই আধিকারিকের কথায়, দেবীপুর শূকর প্রজনন কেন্দ্রে ২৬৫টি বড় এবং ১৮৫টি ছোট শূকর ছিল। এতে গ্রেট ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত উচ্চ প্রজাতির ৫৪টি শূকরও রয়েছে। গত ২৫ মার্চ থেকে ওই খামারে শূকরের মড়ক শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৩টি শূকর মারা গেছে। তাতে শূকর প্রজনন কেন্দ্র ও প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।আধিকারিকটির দাবি, গত ৭ এপ্রিল শূকরের নমুনা গুয়াহাটিতে অবস্থিত ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে নমুনা ভোপালে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে নমুনার রিপোর্ট চলে এসেছে। তাতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চিঠি রাজ্যের কাছে আসার পর শূকরের গণ-নিধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তাঁর কথায়, দেবীপুর শূকর প্রজনন কেন্দ্রে আজ ৮ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮ ফুট প্রস্থ গর্ত খুদাই হয়েছে। ওই গর্তে শূকর মেরে গণ-কবর দেওয়া হবে। আজ প্রাণী কল্যাণ দফতরের সিপাহিজলা জেলা ডেপুটি ডিরেক্টর এবং অভয়নগরস্থিত স্টেট ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবের কর্মকর্তা ওই খামার পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা শূকরের গণ-নিধনের যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন।এদিকে, দেবীপুর শূকর প্রজনন কেন্দ্রে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়ানোর কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে শূকরের খামারে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করার ফলে শূকরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিকভাবে তৈরি হয়নি। এছাড়া শূকরের জৈব নিরাপত্তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, দেবীপুর শূকর প্রজনন কেন্দ্রের পাশেই গো সংরক্ষণ খামার রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অব্যবস্থার কারণে সংক্রমণ শূকরের খামারে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে, আফ্রিকান ফিভার থাবা বসাতে সক্ষম হয়েছে। তাঁর কথায়, কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠানোর পর গণ-নিধন শুরু হবে। এক্ষেত্রে ওই খামারের পার্শ্ববর্তী পাঁচটি গ্রামে সমস্ত শূকর নিধন করা হবে। তার জন্য, গ্রামবাসীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। ওই রোগ চারিদিকে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, প্রশাসন সেদিকে নজর রেখেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য