স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি : ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাইনি! এমন অবস্থা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক ডাঃ দীলিপ দাসের। কারণ ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর নরসিংগড় অঙ্গননগর তপন শীলের বাড়িতে এসে দাবি করলেন বোমা ফাটেনি, পটকা ফেটেছে। ডাঃ দীলিপ দাসের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বাজারে এমন কি বাজি আছে দেওয়াল ফেটে যায় এবং বিদ্যুতের খুঁটি তার ছিড়ে যায়? এর ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন তাঁর। সুতরাং তিনি চিকিৎসক হতে পারেন, কিন্তু ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নয়। সোমবার তপন শীলের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সম্পর্কে অবগত হয়ে এ কথা বলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, কারা বোমা নিক্ষেপ করেছে সেটা কেউ দেখে নি।
কিন্তু এই ধরনের ঘটনা পেছনে অতীত এবং বর্তমান কিছু বিষয় থাকে যেগুলো এই ঘটনার সাথে যুক্ত। পাশাপাশি ঘটনার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট হয়ে যায় এর পেছনে কারা যুক্ত থাকতে পারে এবং পেছনে মূলত কি কারণ রয়েছে। তিনি বলেন তপন শীল একজন দলের একনিষ্ঠা কর্মী। বিগত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে তিনি এলাকায় বুক চিতিয়ে কাজ করেছেন। এক প্রকার ভাবে দলের হয়ে তিনি এলাকার সৈনিক। তপন শীলের মত নেতৃত্বের কারণে এই বড়জলা আসনটি বিজেপি থেকে ছিনিয়ে নিতে সফল হয়েছে সিপিআইএম। তারপর থেকেই তপন শীল সহ যারা যারা গণতন্ত্রের হয়ে কাজ করছে তাদের উপর বিজিত শক্তির একটা প্রতিহিংসা। এলাকায় এ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয়তা নেই। সুতরাং এটি বোঝা যায় কারা জড়িত এই ঘটনায়। তিনি আরো বলেন এই ঘটনার পর শাসক দল বিজেপির নেতৃত্ব তপন শীলের বাড়িতে এসে বলছেন, এটাকে যেন কোন রাজনৈতিক রং ধরানো না হয়। কিন্তু তপন শীল কোনো রাজনৈতিক দলের কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন একজন সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে রাতের বেলা কেন এভাবে দুষ্কৃতিকারীরা আক্রমণ করবে? এটি তাদের গায়ে ঘা লেগেছে। আবার বলছে ভয়ের কোন কারণ নেই আমরা আবার ২৮-এ আসছি। সুতরাং তারা অবচন মনে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আতঙ্ক হয়ে যাচ্ছে। তাই এই ঘটনাগুলির পেছনে তারা যুক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। এমনটাই জানান বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। একই সাথে পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, থানা প্রাক্তন বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাসকে খবর দিয়েছেন। এর দ্বারা স্পষ্ট পুলিশ বিজেপির লেজুরবৃত্তি করছে। এগুলি বন্ধ হওয়া দরকার।আরো বলেন নগরে আগুন লাগলে শুধু বিরোধী দলের ঘর পুড়বে না, তাদের ঘরও আরো বেশি পুড়বে।