Monday, January 13, 2025
বাড়িরাজ্যমহকুমা শাসক কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মচারীদের প্রাননাশের হুমকি, সকাল থেকে কর্ম বিরতি...

মহকুমা শাসক কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মচারীদের প্রাননাশের হুমকি, সকাল থেকে কর্ম বিরতি কর্মচারীদের

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৩ জানুয়ারি : প্রকাশ্য দিনের বেলায় হাতে ধারালো দা নিয়ে কৈলাসহরের মহকুমা শাসক কার্যালয়ে প্রবেশ করে সরকারি কর্মচারীদের উপর আক্রমণ এবং প্রাননাশের হুমকি দেয় দুস্কৃতিকারীরা। প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে কর্মবিরতি করেন মহাকুমার শাসক কার্যালয়ের কর্মীরা। পরবর্তী সময় রাষ্ট্রবাদী দলের এই দুষ্কৃতিকারীদের মহাকুমার শাসক কার্যালয়ে ডেকে এনে জামাই আদর করে বিষয়টি মীমাংসা করে নিলেন আধিকারিকরা। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। মহকুমা শাসক কার্যালয়ের এক এলডিসি কর্মী রিক্সানিয়ানা ডার্লং জানান, কৈলাসহরের মহকুমাশাসক কার্যালয়ের পাকা ভবনটি দীর্ঘ পুরনো হওয়ার ফলে রাজ্য সরকার সম্প্রতি পাকা ভবনটি নতুনভাবে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। খুব শীঘ্রই নতুন করে পাকা ভবনের নির্মানের কাজ শুরু হবে।

এর ফলে মহকুমা শাসকের অফিস আপাতত অস্থায়ী ভাবে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে। পাকা ভবনটি নির্মানের পূর্বে পুরনো পাকা ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজ চলাকালীন সময়ে কিছু যুবক হাতে ধারালো দা নিয়ে অফিস চত্বরে প্রবেশ করে। সেসময় কাজ তদারকিতে ছিলেন মহকুমা শাসকের সরকারি কর্মচারী রিক্সানিয়ানা ডার্লং সহ আরও কয়েকজন কর্মচারীরা। যুবকরা জিজ্ঞেসা করে কার নির্দেশে অফিসটি ভাঙ্গা হচ্ছে? তারা জানান, এই কাজগুলি তারা করবে। এই কথা শোনার পর রিক্সানিয়ানা ডার্লং বলেন, এই বিষয়ে মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকারকে গিয়ে জিজ্ঞেসা করলে জানতে পারবে। এই কথা বলতেই যুবকরা ধারালো দা দেখিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের ঠেলা ধাক্কাও দিয়েছে বলে সরকারি কর্মচারীরা জানান। শুক্রবার কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মবিরতি শুরু করে। এই কর্মবিরতির ফলে মহকুমাশাসকের অফিসের সব সেকশনের কাজ বন্ধ ছিলো। কর্মবিরতি চলাকালীন মহকুমাশাসক অফিসের রেভিনিউ সেকশনের সরকারি কর্মচারী দিয়েম চাকমা জানান, এভাবে অফিস চত্বরে এসে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার ফলে উনারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।

 তাই যতক্ষন অব্দি ঘটনার সমাধান হবে না ততক্ষণ অব্দি কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান। পরে এল ডি সি রিক্সানিয়ানা ডার্লং জানান, শুক্রবার মহকুমাশাসকের অফিসে কর্ম বিরতি চলাকালীন সময় অভিযুক্ত যুবকরা অফিসে এসে সরকারি কর্মচারিদের কাছে ভুল স্বীকার করেছে এবং ঘটনার মীমাংসা করায় কর্মচারিরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় বলে জানান সরকারি কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং। তবে বিষয়টির যতটা সহজ সরল ভাবে তিনি বলে দিলেন ততটা সহজ সরল নয়। অত্যন্ত নিন্দনীয় এই কার্যকলাপ সংগঠিত হয়েছে মহকুমা শাসক কার্যালয়ে। জানা যায় ঘটনাটির সাথে রাষ্ট্রবাদী দলের নেতারা ও তাদের শরিক দলের নেতারা জড়িত থাকায় বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন হল কোথায় সুশাসন? সত্যিই যদি সুশাসন থাকতো তাহলে এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত করার সাহসটুকু চেতনা তথাকথিত রাষ্ট্রবাদীরা। আতঙ্কগ্রস্ত কর্মচারীরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা। তাদের মধ্যে সিংহভাগ কর্মচারীর দাবি ছিল অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার। কিন্তু আধিকারিকরা নিজেদের চাকরি সুরক্ষিত করতে মীমাংসার পথে হাঁটলেন না এই দিন। সরকারি অফিসে প্রবেশ করে এ ধরনের কার্যকলাপ করার পর যদি ছাড় পেয়ে যায় তাহলে আগামী দিন দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিঃসন্দেহে চলে যাবে গোটা অফিস। তা নিয়ে দ্বন্দ্বের কোন অবকাশ নেই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য