Friday, March 21, 2025
বাড়িরাজ্যরাস্তা সংস্কারের আশা ছেড়ে দিয়ে মানুষ বলছে এলাকা থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক হলে...

রাস্তা সংস্কারের আশা ছেড়ে দিয়ে মানুষ বলছে এলাকা থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক হলে রাস্তা সংস্কার হবে

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৩ জানুয়ারি :জনগণের জন্য কাজের মানসিকতার অভাবে বছরের পর বছর গড়িয়ে গেলেও রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে কোন জনপ্রতিনিধির। তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এলাকাবাসী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অভিযোগ গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত জম্পুইজলা ব্লকের মোহনপুর ভিলেজের রাস্তার অবস্থা দীর্ঘ বছর ধরে খারাপ হয়ে আছে। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে দাবি করা হয়েছিল রাস্তাটি যাতে সংস্কার করা হয়। তখন গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্তমান আইপিএফটি -র নেতৃত্ব।

কিন্তু এলাকার বিধায়ক রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেননি। এলাকাবাসীকে বারবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টেন্ডার গ্রহণ করা হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে কথার সাথে কাজের অমিল বিধায়কের। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার এক কৃষক। অপরদিকে এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, সরকার চাইলে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করতে পারে। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এলাকায় দুইবার বিধায়ক হয়েছেন অশোক দেববর্মা। তারপর বিধায়ক হয়েছেন তিপরা মথা দলের মানব দেববর্মা। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি সুশাসন আমলে। এ রাস্তাটি দিয়ে জলাবাড়ি, শান্তির বাজার এবং আগরতলা যাওয়া যায়। তবে এলাকাবাসী সূত্র মোতাবেক জানতে পেরেছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ছয় কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল।

 কিন্তু স্থানীয় কিছু চুঁনাপুটি নেতাকে পার্সেন্টেজ অনুযায়ী অর্থ দিতে হবে। সেই অর্থরাশির দাবি মিটিয়ে দিতে না পারায় কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদার। শেষ পর্যন্ত টেন্ডার পুনরায় অফিসে জমা দিয়ে কাজ ছেড়ে চলে গেছেন ঠিকাদার। যার কারণে এলাকার প্রবীণ ব্যক্তির অভিমত যদি এলাকা থেকে কোনদিন কেউ ভাগ্যক্রমে মন্ত্রী বা বিধায়ক হতে পারে তাহলে রাস্তাটি হবে বলে আশাবাদী গ্রামবাসী। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না সুশাসনে বিকাশ ত্রিপুরায় প্রসাদ বিহীন কোন ঠিকাদার কাজ করতে পারছে না। এর নিয়ন্ত্রণ শক্তি হলো মন্ডল এবং স্থানীয় মথার পার্টি অফিস। নিষ্কর্মা কিছু চুনোপুঁটি নেতাকে কাজে লাগিয়ে এভাবে চলছে তথাকথিত উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। আর সংবাদ মাধ্যমের সামনে উন্নয়নের ঢাক ঢোল পিটিয়ে এবং আবেগ প্রবন হয়ে চোখের জল পর্যন্ত ফেলে দিচ্ছেন নেতারা। কিন্তু “ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি” অবস্থা। সুতরাং উন্নয়নের বারোটা বাজিয়ে দিও খাই মেটেনা তাদের। এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য