স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জানুয়ারি : সারা বছর ঘটা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হলেও দপ্তরের কাজকর্মের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। শুধুমাত্র বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে যাতায়াত এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে আমোদ প্রমোদ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে মাতোয়ারা হয়ে আছেন। যার কারণে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এবার অভিযোগ উঠল সালেমা আইসিডিএস প্রজেক্টের অধীন বালিগাঁও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। নানা সমস্যায় জর্জরিত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি।
কিন্তু উদাসীন দপ্তরের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি না হয়ে আর পারলো না এলাকাবাসী। তাদের বক্তব্য, গত প্রায় এক বছর ধরে এই কেন্দ্রের প্রায় পচিশজন শিশু রোজ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না। তারপরও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে দিদিমনির দ্বারাই চলছে সমস্ত কাজকর্ম। তিনি রান্না করে ছেলেমেয়েদের খাবার দেন, আবার তিনি পড়াশোনা করান। জানা গেছে যে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জায়গা দিয়েছিলো তার দাবি ছিল যাতে তার পরিবারের কাউকে অন্তত হেল্পারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সেটিও হয়নি। যার কারণে দিদিমনি ছুটি নিলে কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। গত পাঁচ দিন ধরে দিনমনি অসুস্থ থাকার বর্তমানে বন্ধ রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি। ফলে কচিকাদের খাবার দাবার থেকে শুরু করে পড়াশুনা কোনটাই হচ্ছে না সঠিকভাবে।এলাকাবাসী আরো জানায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে দুটো টিউবওয়েল আছে। একটা মার্ক টু ও একটা ডিপ টিউব ওয়েল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো দুটোই বিকল। এগুলি কোনো কাজে আসে না। ফলে আশপাশের বাড়িঘর থেকে জল এনে শিশুদের খাবার তৈরি করতে হয়। এ বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সকলেই। কিন্তু কারোর কোন মাথা ব্যাথা নেই। এই অবস্থায় সালেমা সি ডি পি ও কার্যালয়ের কোনো হেলদোল নেই। এই অবস্থায় এই কেন্দ্রের অধীন শিশুরা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাই এই কেন্দ্রটির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান রেখেছে এলাকাবাসী।