স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জানুয়ারি : স্বাস্থ্য দপ্তরের চরম অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে নাম গোত্র হারাচ্ছে রাজ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি। ফলে বিকাশ ত্রিপুরায় ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। ন্যূনতম পরিষেবা পর্যন্ত মিলছে না স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। এবার এমনটাই অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর আনন্দনগর স্থিত আনন্দনগর আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির নিয়ে। আনন্দনগর, শ্রীনগর, মহেশখোলা সহ আশপাশে এলাকার বহু রোগী প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসে। কিন্তু তাদের সাথে সঠিকভাবে ব্যবহার পর্যন্ত করছে না হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এক রোগীর পরিবার জানায়, বুধবার হাসপাতালে
এক রোগীকে নিয়ে এসেছে। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দেন। সেই ওষুধগুলি নিয়ে আসার পর ইঞ্জেকশন এবং স্যালাইন দিয়ে যায় কর্তব্যরত নার্সেরা। তারপর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা পর্যন্ত রোগীকে দেখতে আসে নি। এবং চিকিৎসকের সাথে কোন কথা বলতে গেলে তিনি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলেন তারা। তারা প্রশ্ন তোলেন কার জন্য সরকারি হাসপাতাল? গরিব মানুষ হাসপাতালে এসে যদি চিকিৎসাই না পায় তাহলে সরকারি হাসপাতাল থেকে কি লাভ? তবে এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি আজও বহুবার হয়েছে হাসপাতালে আসা রোগী এবং রোগীর পরিবার পরিজন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো কোন কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য দপ্তরকে।