স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ ডিসেম্বর : আগের নেতাদের পেছনে ঘুরলেই চাকরি পাওয়া যেত। এখন শূন্যপদ পূরণ থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছে রাজ্য সরকার। চারিদিকে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না, আরো কাজ করতে হবে এবং অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ করা যাবে না। সোমবার ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের ২০ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে স্মৃতি ক্লাবে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকার চাইছে বেশি করে কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করার। গোটা দেশের মানুষ এখন জানতে পারছে ত্রিপুরার সম্পর্কে। ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা অত্যন্ত ভালো স্থানে রয়েছে।
তাই রাজ্যে বিনিয়োগকারীরা আসতে চাইছে। এবং এই বিনিয়োগকারীদের জন্য ইনভেস্টার পলিসি রয়েছে। পোর্টালের মাধ্যমে তারা রাজ্যের আসতে পারবে। তারা রাজ্যে আসলে আরো বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৩ হাজারের অধিক সরকারি শূন্য পদ পূরণ করা হয়েছে। স্পেশাল এক্সিকিউটিভ, রাজ্য পুলিশ এবং গ্রুপ ডি পদের অফার দ্রুত ছাড়া হবে। সুতরাং একদিকে চাকরি এবং অপরদিকে কর্পোরেটররা যখন তার চেয়ে এসে কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করবে তখন ত্রিপুরার যুবক যুবতীদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হবে না। অপরদিকে রাজ্যের আইটিআই কলেজ গুলি অবস্থা করুণ ছিল। সরকার টাটার সাথে মৌস্বাক্ষর করে আইটিআই -গুলির মান উন্নত করার চেষ্টা করছে। তাহলে প্রশিক্ষণের পর ছেলে মেয়েরা কর্মসংস্থানে বিশেষ সুযোগ পাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিটাগাং বন্দর যদি এতদিনে চালু করা যেত তাহলে কবেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রপ্তানির দরজা খুলে যেত। সম্প্রতি এনইসি বৈঠকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল সহ ইসরো চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে এই বিষয়ে জানতে পেরে বলেন তারা আগে জানতেন না ত্রিপুরা এমন একটি জায়গা। তারা চায় আগামী দিনেও এন ই সি বৈঠক ত্রিপুরাতেই করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করে বলেন, তিনি আশাবাদী আগামী দিন ত্রিপুরা আরো এগিয়ে যাবে। আয়োজিত এই দিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর রত্না দত্ত এবং মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্যরা। পরে মুখ্যমন্ত্রী এলাকার দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন।