স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ ডিসেম্বর : বুধবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে গুড গভর্নেন্সের আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী বোতাম টিপে ডি জি জি আই ফ্রেমওয়ার্ক এবং ওয়ারকেটের সূচনা করেন। তারপর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার হরিয়ানার গুরুগ্রাম স্থিত এসজিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিপুরার সম্পর্কে তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে। ত্রিপুরা সম্পর্কে দেশের বহু মানুষ অবগত নয়। তাই ২০১৮ সালের আগে ত্রিপুরা কি রকম ছিল এবং ২০১৮ সালের পর ত্রিপুরার কি পরিবর্তন হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। কারণ ২০১৮ সালের আগে সরকারি প্রকল্প সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সমাজের অন্তিম ব্যক্তিত্ব পর্যন্ত পৌছাতো না।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী চাইতেন সমস্ত সুযোগ সুবিধা যাতে সমাজের অন্তিম ব্যক্তির পর্যন্ত পৌঁছায়। আজ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। তিনি চাইতেন সমাজে অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌছায়। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে আজ। এটাই ছিল তার সুশাসন। অপরদিকে সুশাসনের সংজ্ঞা হলো জনকল্যাণে কাজ করা। যা বর্তমান সরকার পূরণ করে চলেছে। অর্থাৎ ২০১৮ সালে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় যে প্রতিশ্রুতি গুলি বিজেপি দিয়েছিল সেগুলি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে বর্তমান সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মার্গ দর্শন এই সরকার এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন সরকারের দায়িত্ব হল সিদ্ধান্ত নেওয়া, আর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারি কর্মচারীদের। সেদিকে যাতে কর্মচারীরা অবশ্যই গুরুত্ব দেয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুড গভর্নেন্সের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন যাতে বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কর্মচারীদের।
তাহলে মানুষের আস্থা এই সরকারের উপর আরো বাড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন সময় চলে যাচ্ছে, আরো তাড়াতাড়ি কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গে বলেন তিনি শুধু নামে অটল ছিলেন না, কাজও তিনি অটল ছিলেন। অত্যন্ত সৎজন এবং উদার ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার দিশায় আগামী দিন বর্তমান সরকার এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা বর্তমানে নিচের দিক থেকে তিন নম্বরে রয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ত্রিপুরায়। একই সাথে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন ত্রিপুরা আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের সাথে বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে বৈরী মুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংস্থা ত্রিপুরা আসতে চাইছে। আগামী দিন উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের রপ্তানির গেটওয়ে হয়ে উঠবে বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, স্বাস্থ্য ও পূর্ত দফতরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।