শান্তিরবাজার (ত্রিপুরা), ১৭ এপ্রিল (হি.স.) : রবিবাসরীয় সকালে খাবারের আয়োজনে জঙ্গলে যাওয়া কাল হল জনজাতি গৃহবধূর। হতদরিদ্র পরিবারের এই গৃহবধূ ভাল্লুকের নৃশংস আক্রমণে বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তাঁর দুই চোখ খুবলে নিয়েছে ভাল্লুক। এছাড়া একটি হাত মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার মহকুমার তুরমার রায়বাড়ি এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা সুপেন্দ্র রিয়াং-এর স্ত্রী মাসন্তী রিয়াং (৪৫) ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন। গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, সকালে খাবারের জন্য জঙ্গলে বাঁশ-কুড়ুল সংগ্রহে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেখানে ভাল্লুকের আক্রমণে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন।
তাঁদের প্রতিবেশী জানান, বাড়ি থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাপথ দূরত্বে জঙ্গলে বাঁশ-কুড়ুল সংগ্রহে গিয়ে ভয়ানক বিপদের মুখোমুখি হলেন মাসন্তী রিয়াং। জঙ্গলে ভাল্লুকের হামলার পর মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষ ছুটে যান এবং তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিরবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাঁকে আগরতলায় জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
গৃহবধূর প্রতিবেশী জানান, ভাল্লুক মাসন্তী রিয়াং-এর দুটি চোখ খুবলে নিয়েছে। তাছাড়া তাঁর হাতেও কামড় দিয়েছে। ফলে তাঁর একটি হাত মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর মুখের সামনের অংশ বীভৎসভাবে জখম হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা শুরু করেছেন। কিন্তু আর্থিক দিক দিয়ে ভীষণ দুর্বল ওই পরিবার চিকিৎসার ব্যয়ভার কীভাবে বহন করবে, সেই চিন্তায় পড়েছে।প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় ইতিপূর্বেও ভাল্লুকের আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। অতি সম্প্রতি দুটি ঘটনার পর আজ ভাল্লুকের নৃশংসতা এলাকাবাসীকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই, এখন বন দফতরের বন্যপ্রাণীদের হামলা প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে ভাববার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।