স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ডিসেম্বর : দেশবাসীর স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কর্পোরেট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। এর বিরুদ্ধে গোটা দেশের সাথে প্রদেশ কংগ্রেসও আন্দোলনে নামতে চলেছে। রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানান প্রদেশ কংগ্রেসের মুখাপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দিকে কেন্দ্র সরকারের কোন লক্ষ নেই।
সরকারের একটাই লক্ষ্য কিভাবে আদানিকে রক্ষা করা যায়। এ বিষয়গুলি নিয়ে পার্লামেন্টে আওয়াজ তুললে দেখা যায় সেখানেও পার্লামেন্টের কাজ স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। একটা গণতন্ত্রের পীঠস্থানে নরেন্দ্র মোদির স্বৈরাতান্ত্রিক চেহারা আড়াল করার জন্য এ ধরনের কার্যকলাপ চলে। এ ধরনের কার্যকলাপের পক্ষপাতিত্ব করেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান। তিনি এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কার্যকারী ব্যবস্থা না নিয়ে দলবাজির সমর্থন করেন। চেয়ারম্যানের এ ধরনের প্রশ্রয়ে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যানও চান নরেন্দ্র মোদির মতো আদানিকে রক্ষা করার। ভারতীয় জনতা পার্টির এ ধরনের কার্যকলাপ ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। দলের নেতাকর্মীরা বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বড় সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। আরো বলেন, শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছে, তাদের মজুরি পর্যন্ত কমে যাচ্ছে। সর্বকালীন রেকর্ড হয়েছে বেকার সমস্যায়। কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছে লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতীরা। শুধু তাই নয় দ্রব্যমূল্য দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ত্রিপুরায় অনেক বেড়েছে। রাজ্যের মানুষের করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
আর সরকার দাবি করছে রাজ্যের মানুষের নাকি আয় বেরেছে। কৃষি ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্যকে পিছে ফেলে দিয়েছে ত্রিপুরা। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও বেড়েছে বলে দাবি সরকারের। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন এক সম্প্রদায়ের মানুষের পেছনে অন্য সম্পদায়ের মানুষকে লেলিয়ে দিয়ে এক অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে সরকার। এর উদাহরণ হলো গন্ডাছড়া থেকে পানিসাগর পর্যন্ত গত কয়েক মাসে যে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলি সংগঠিত হয়েছে সেগুলি। এর প্রতিবাদে আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজভবন অভিযান সংগঠিত করবে প্রদেশ কংগ্রেস। এ রাজভবন অভিযান থেকে আওয়াজ তোলা হবে ফ্যাসিবাদী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির আঁতাতের বিরুদ্ধে। দাবি করা হবে রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষা করা এবং বেকারত্বের অবসানের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার। এমনটাই জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্যরা।