স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ডিসেম্বর : অনেকে সমাজতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু দেশ না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব থাকে না। তাই রাষ্ট্রবাদের উপর কোন কিছু নেই। শনিবার ত্রিপুরা বিধানসভার কনফারেন্স হলে বিধানসভা কর্মচারী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রথম দ্বি বার্ষিকী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বললেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, বিধানসভা হলো গণতন্ত্রের মন্দির। বিধানসভার এই কর্মচারী সংগঠনের সাথে অন্য কোন কর্মচারী সংগঠনের তুলনা হয় না। এটা অনেকটাই ব্যতিক্রমী।
এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছে কর্মীরা। তিনি আরো বলেন ত্রিপুরা যখন পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পেয়ে বিধানসভা অধিবেশন শুরু করে তখন বাজেট ছিল ৬৩ কোটি টাকা। বর্তমানে এই বাজেট বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বিধানসভার। এদিকে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে ৫১ বছর হয়েছে এবং দেশ স্বাধীনের ৭৮ বছর হয়েছে। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় গত ছয় থেকে সাত বছরে ত্রিপুরার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যেখানে ধর্মনগর থেকে আগরতলায় আসতে সময় লাগতো পাঁচ ঘণ্টা, সেখানে বর্তমানে আড়াই ঘণ্টায় আগরতলায় আসা যায়। সুতরাং ধর্মনগরবাসীর জন্য এখন আগরতলা দূর নয়। এটাই ত্রিপুরার বড় পরিবর্তন। একইসাথে রেল ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে বলেন, ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে ১৮ টি এক্সপ্রেস ট্রেন দেশে বিভিন্ন রাজ্যে যায়। এই পরিবর্তনগুলি গত ১০ বছরে হয়েছে। ফলে রাজ্যের যুবক যুবতীরা পড়াশোনা এবং কর্মসংস্থানের জন্য আগরতলা থেকে খুব কম সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেতে পারে। পরিবর্তন হয়েছে সামাজিক ভাতাও।
সামাজিক ভাতা বেড়ে হয়েছে দুই হাজার টাকা। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ত্রিপুরা রাজ্যের রপ্তানি ছিল সাড়ে ছয় কোটি টাকা থেকে সাত কোটি টাকা। কিন্তু গত কত বছরে ২৫০ কোটি টাকা রপ্তানি হয়েছে। এতে বোঝা যায় ত্রিপুরার উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন বর্তমান সরকার আসার পর ১৭০০ টি পি এস সি -র মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতী চাকুরী পেয়েছে। টেটের মাধ্যমে ৬ হাজার যুবক যুবতী চাকরিতে যোগ দিয়েছে। ৫ হাজারের অধিক অশিক্ষক পদে যোগ দিয়েছেন। গ্রুপসি এবং গ্রুপ ডি তে প্রায় চার হাজারের অধিক যোগ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল পদে ১০০০ এর অধিক যোগ দিয়েছে। এটাই রাজ্যের পরিবর্তন বলে দাবি করলেন মন্ত্রী টিংকু রায়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঈদের এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন এবং উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিধানসভার মুখ্য সচেতন কল্যাণী রায় সহ অন্যান্যরা।