Thursday, January 16, 2025
বাড়িরাজ্যআন্দোলনে নামতে চলেছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি

আন্দোলনে নামতে চলেছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ডিসেম্বর : রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারী বিভিন্নভাবে সমস্যার শিকার। এর প্রতিবাদে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা রাজ্যে পোস্টারিং কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি। এর জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তারপর ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কর্মচারীদের স্বার্থে বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ পূরণ করা, বছরে দুবার মহার্ঘ ভাতা দেওয়া, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা শাসক, রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হবে সংগঠন।

 শুক্রবার রাজধানীর মেলার মাঠ স্থিত সমন্বয় ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা মহুয়া রায়। তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, এ রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে বইঞ্চনাকে আরো দীর্ঘায়িত করার অপপ্রয়াস সুপরিকল্পিত ভাবে শুরু হয়েছে। আবার সরকারী কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষক কর্মচারীরা প্রধান অবলম্বন অথচ সরকারের হাতেই শিক্ষক কর্মচারীদের একটার পর একটা অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জনগনের অন্যান্য অংশের বিভিন্ন প্রত্যাশা যেমন এখনো পূরণ হয়নি, তেমনি এ রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের কোনো প্রত্যাশাই পরিপূর্ণতা পায়নি। বিভিন্ন দাবী পূরণ হওয়া দূরের কথা বরং প্রচার হচ্ছে যাতে মনে হবে শিক্ষক কর্মচারীদের কোন সমস্যা নেই। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। পরিনামে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী, ডাক্তার, নার্স, অফিসার আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ পর্যন্ত ৭২ মাসে রাজ্যে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী আক্রান্ত ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি অভিযোগ তুলেন কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বঞ্চনা নিয়ে। তিনি বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর গণ অবস্থানের পর সরকার পাঁচ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে। বিগত বামফ্রন্ট সরকার বছরে নিয়মিত দুইবার ডি এ প্রদানের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ডি এ -র ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা করত। কিন্তু বর্তমান সরকার ৫৩ শতাংশের জায়গায় এখনো ২৩ শতাংশ বকেয়া ডি এ কর্মচারীদের অনাদায়ী রেখে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে যেমন কর্মচারীরা হিমসিম খাচ্ছে তেমনি রাজ্যের অর্থনীতিতে ও তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সপ্তম বেতন কমিশন অধরা রয়ে গেছে রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের কাছে। অষ্টম বেতন কমিশনের গঠন সম্পর্কে এখনও পরিকল্পনা নেই বলে সংসদে জানানো হয়েছে। ২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ৮ম বেতন কমিশন লাগু হবার কথা। এ মুহূর্তে রাজ্যের কর্মচারীরা অত্যন্ত বঞ্চনার শিকার বলে দাবি করলেন তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান রঞ্জিত রৌদ্র পাল সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য