আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি’র আগরতলা অভিমুখের লং মার্চকে কেন্দ্র করে আখাউড়া চেকপোস্টে রণসাজে ছিল ত্রিপুরা পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর টিএসআর এবং সিআরপিএফ বাহিনী। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার ডঃ কিরণ কুমার কে।
বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি’র তিন অঙ্গ সংগঠন। এই সংগঠনগুলি হল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল। এদিন বিএনপি’র কর্মী সমর্থকরা ঢাকা থেকে লংমার্চ করে আখাউড়া চেকপোস্ট পর্যন্ত আসবে বলে খবর। এই লং মার্চকে কেন্দ্র করে রাজধানী আগরতলা শহরের কাছে আখাউড়া সীমান্তে বুধবার রণসাজে দেখা গেল ত্রিপুরা পুলিশকে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রচুর সংখ্যক টিএসআর এবং সিআরপিএফ বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে।
বিএনপি’র তিন সহযোগী দলের লংমার্চকে কেন্দ্র করে চেকপোস্ট এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই রাজ্য পুলিশের এই রণসাজ। এর নেতৃত্বে রয়েছেন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার ডঃ কিরণ কুমার কে ।এদিন আখাউড়া সীমান্তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার জানান, পরিস্থিতি অনুসারে যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। বিএসএফ কড়া টহলদারি জারি রেখেছে। এর পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক সিআরপিএফ এবং টিএসআর জওয়ান মোতায়েন করা হয়ে। গোটা পরিস্থিতির উপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমারকে।
এদিকে আখাউড়া সীমান্তে পুলিশের রণ সাজের মধ্যেও চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ উপায়ে মানুষের আসা-যাওয়া চলছে। তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দুই দেশের জনগণের চোখে মুখে কিছুটা আতঙ্কের ছাপ প্রত্যক্ষ করা গেছে।
এদিন চেকপোস্টের সামনে প্রচুরসংখ্যক পুলিশ দেখে ঘাবরে যান এক বাংলাদেশী নাগরিক। ১৮ দিন আগে তিনি এডি নগর এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে বৈধ উপায়ে বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি জানান, একাই ভারতে এসেছেন এবং যাচ্ছেনও একা। তার বাড়ি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় বলে জানান তিনি।
আখাউড়া চেকপোস্ট এলাকায় পুলিশের রণসাজ দেখতে বুধবার সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। না এরা কেউ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা খ্রীষ্টান নন। এরা ভারত মায়ের সন্তান, এদের সবাই ভারতবাসী। এদের মধ্যে যুবকদের সংখ্যাই বেশি। চারিদিকে একটা থমথমে ভাব বিরাজ করলেও তাদের চোখে মুখে কিন্তু অন্যরূপ পরিলক্ষিত হয়। এদিন যুবকদের একাংশ জানান, সকাল থেকেই তারা চেকপোস্টের সামনে অপেক্ষা করছেন। কখন বাংলাদেশিরা লংমার্চ করে এগিয়ে আসবে আগরতলার দিকে। বাংলাদেশিদের মিষ্টিমুখ করাবেন তারা। জড়ো হওয়া যুবকদের মধ্যেই একজন আরও এক কদম এগিয়ে বললেন, সরফরোশি কি তমন্না আব হামারে দিল মে হে। তিনি আরো জানান, আমরা দেখে নেব কার মধ্যে কতটা দম আছে।