স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ ডিসেম্বরঃ ছত্তিশগড়ে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ ৭ মাওবাদী। বৃহস্পতিবার নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় পুলিশ ও সিআরপিএফ। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই জানান, মাওবাদীদের সঙ্গে একটানা সাত ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে নকশালপন্থীদের।
গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে মাওবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে। এর পরই রাত তিনটে নাগাদ অভিযান চালায় পুলিশ (ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড) ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। উল্লেখ্য, গতকালই পুলিশের ‘চর’ সন্দেহে এক বিজেপি নেতাকে খুন করে বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দেয় মাওবাদীরা। নিহত কুদিয়াম মাঢ়ো জনজাতি গোষ্ঠীর বিজেপির জেলা কৃষক সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলেন। হত্যাকাণ্ড চালানোর পর কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ‘পুলিশের চর’দের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি লিফলেট ছড়িয়ে যায় মাওবাদীরা। দিন কয়েক আগে ‘পুলিশের চর’ সন্দেহে এক মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে খুন করে মাওবাদীদের গেরিলা বাহিনী। এদিন পালটা হামলায় মৃত্যু হল ৭ মাওবাদীর।
প্রসঙ্গত, মাওবাদকে দেশ থেকে নির্মুল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি এই বিষয়ে বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। চূড়ান্ত হামলার সময় এসেছে। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করব।’’ এ যে নিছক মুখের কথা নয়, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানই তা স্পষ্ট করে দেয়। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৬৪ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ৮৬১ জন গ্রেপ্তার ও ৭৮৯ জন আত্মসমর্পণ করেছেন।