স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর : সম্প্রতি রাজ্য, কেন্দ্রীয় ও বৈরী সংগঠন গুলির মধ্যে একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়। তারপর বহু বৈরি আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। কিন্তু একাংশ বৈরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলেও তারা তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রমান ধারালো অস্ত্র ও দেশি বন্দুক সহ এনএলএফটি বৈরি সংগঠনের এক প্রাক্তন সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় চম্পকনগর বলরাম ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা শংকর দেববর্মা এনএলএফটি বৈরী সংগঠনের প্রাক্তন সদস্য।
সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলেও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। রবিবার বিকালে ধারালো অস্ত্র ও দেশি বন্দুক সহ জিরানিয়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায় রবিবার বিকালে, শংকর দেববর্মা গ্রামের বাসিন্দা সুশীল দেববর্মার উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের ফলে সুশীল দেববর্মা গুরুতর ভাবে আহত হন। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় প্রানে বেচে যান সুশীল দেববর্মা। অভিযোগ শঙ্কর দেববর্মা গ্রামে পুরানো ব্রিজ সংস্কারের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করতে যায়। তখন বাধা দান করে সুশীল দেববর্মা। তারপরই শংকর দেববর্মা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুশীল দেববর্মার উপর আক্রমণ চালায়। এতে গুরুতর ভাবে আহত হয় সুশীল দেববর্মা। আহত সুশীল দেববর্মাকে প্রথমে চম্পকনগর হাসপাতালে এবং পরে আগরতলার জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর রবিবার রাতে চম্পকনগর ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেন সুশীল দেববর্মা।
অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে জিরানিয়া থানার পুলিশ শংকর দেববর্মাকে বলরাম ঠাকুরপাড়া নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয় একটি ধারালো তরোয়াল এবং একটি দেশি বন্দুক। জিরানিয়া থানার ওসি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গোটা ঘটনার বিষয়ে জানান। পাশাপাশি তিনি জানান অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃত শঙ্কর দেববর্মার বিরুদ্ধে। ধৃত শঙ্কর দেববর্মা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় এই ধরনের অসামাজিক কাজ চালিয়ে আসছে বলে খবর। তবে গ্রামবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন চলছে শঙ্কর দেববর্মার কাছে আরও তিন থেকে চারটি বন্দুক এবং বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র রয়েছে। যা পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। এইদিকে জিরানিয়া থানার পুলিশ সোমবার পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে ধৃত শঙ্কর দেববর্মাকে আদালতে সোপর্দ করে।