স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ডিসেম্বর : ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে গিয়ে ন্যায়বিচার পেলেন এক প্রয়াত সরকারি কর্মচারীর স্ত্রী। এই প্রয়াত সরকারি কর্মচারীর নাম মহম্মদ শহিদুল মিয়া। বাড়ি উদয়পুরে। ১৯৯০ সালের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের প্রাথমিক বিভাগে সরকারি শিক্ষক হিসেবে ৬০০ টাকার স্থির বেতনে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মহম্মদ শহীদুল মিয়া। তখন তার চাকরির স্থায়িত্ব ছিল এক বছর। পাঁচ বছরের অধিক সময় চাকরি করার পর ১৯৯৬ সালে মহম্মদ শহীদুল মিয়া নিয়মিত বেতন ক্রমে উন্নীত হন।
সেই সময়ে মোহাম্মদ শহীদুল মিয়া সহ মোট ৪৪৩ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত বেতনক্রমে উন্নীত হয়েছিলেন। এরপর তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের বেশি পর্যন্ত সময়কাল চাকরি করার পর ২০২১ সালের ১০ জুলাই কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তী সময়ে মৃত মহম্মদ শহিদুল মিয়ার স্ত্রী অর্জুনা বেগম পারিবারিক পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ সহ গ্রুপ ইন্সুরেন্সের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু বিদ্যালয় শিক্ষা পরিদর্শক উদয়পুর বিভাগ মৃত শহীদুলের পরিবারকে গ্রুপ ইন্সুরেন্সের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করে।
মৃত মহম্মদ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী অর্জুনা বেগম বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র বিদ্যালয় পরিদর্শক উদয়পুর বিভাগের কাছে পেশ করলেও বিদ্যালয় পরিদর্শক উদয়পুর বিভাগ নিজেদের বক্তব্যে ছিল অনড়। এরপরই প্রয়াতের স্ত্রী অর্জুনা বেগম দারস্থ হয় ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড়ের ডিভিশন ব্যাঞ্চে চলে এই মামলার শুনানি। দীর্ঘ শাওয়াল জবাব এর পর উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি কি অমরনাথ গৌড় প্রয়াত মহম্মদ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী অর্জুনা বেগমের পক্ষেই রায় প্রদান করেন। প্রধান বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় সরকার পক্ষের আধিকারিকদের গ্রুপ ইন্সুরেন্সের প্রাপ্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা মামলার রায়দানের কপি হাতে পাওয়ার দু মাসের মধ্যে আবেদনকারীকে প্রদান করার নির্দেশ দেন। প্রয়াত মোঃ শহিদুল মিয়ার স্ত্রী অর্জুনা বেগমের পক্ষে এই মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী প্রশান্ত পাল। তিনি বুধবার রাজধানীর কৃষ্ণনগর এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন। তাকে সহায়তা করেন অমিত বরণ সরকার, সুবীর বৈদ্য, হীরালাল দেববর্মা, মৈত্রী মজুমদার এবং মধুরিমা চন্দ।