স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ডিসেম্বর : ভোট আসলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গ্রামে উড়ে এসে জুড়ে বসে ভোট পাখিরা। আর ভোট শেষে সিংহাসন পেলে তারা এলাহি গাড়ি, সিকিউরিটি নিয়ে এক প্রকার ভাবে এলাকার বাদশা হয়ে যায়। তখন তারা যে রাস্তা দিয়ে এসি গাড়ি করে চলাচল করবে সেই রাস্তার উন্নয়ন হলেই চলে। বাকি সব রাস্তা জাহান্নামে যাক, এমনটাই মানসিকতা একটা বড় অংশের জনপ্রতিনিধিদের হয়ে গেছে। যার জন্য বিকাশ ত্রিপুরার মাটিতে সুশাসন ফ্লপ হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার।
অভিযোগ বাগমা বিধানসভার অন্তর্গত ফোটামাটি এলাকার সিংহের ঘর বাজার থেকে কামারপাড়া ৪ নং ও ৫ নং ওয়ার্ডের মানুষ চলাচলের যে রাস্তাটি রয়েছে সেই রাস্তাটি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে চরম বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়ে আছে। বাম আমল থেকে শুরু করে রাম আমল পর্যন্ত ভুক্তভোগী স্থানীয় এলাকাবাসী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানোর পরেও পূর্ত দপ্তর এবং গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর রাস্তাটির সংস্কারের কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে না, যার ফলে রাস্তাটি বর্তমানে চরম বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়ে আছে। এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে ফোটামাটি এলাকার সিংহের ঘর বাজার থেকে কামারপাড়া ৪ নং ও ৫ নং ওয়ার্ডের এই রাস্তার আশেপাশে ১৫০ থেকে ২০০ পরিবারের বসবাস।ফোটামাটি এলাকায় শুধু একটি রাস্তা নয় এমন বেশ কয়েকটি রাস্তা বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়ে আছে অথচ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলি রাস্তা সংস্কারের কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সিঙ্গের ঘর বাজার থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত যে রাস্তাটি রয়েছে সেই সম্পূর্ণ রাস্তাটি খানাখন্দে পরিণত হয়ে জল জমাট বেঁধে আছে। আবার কোথাও কোথাও ধান জমির মতো কাদায় পরিণত হয়ে আছে। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা মানুষ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে এই রাস্তা দিয়ে যেতে পারছে না। এমনকি স্কুল ছাত্র-ছাত্রী ও অসুস্থ রোগী থেকে গর্ভবতী মহিলাদেরকেও রাস্তা দিয়ে যেতে চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও টনক নরে নি মন্ত্রী ও বিধায়ক থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। তাই ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিধায়ক থেকে এলাকার জন প্রতিনিধিরা বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে জানা গেছে খুব শীঘ্রই যদি এই রাস্তা সংস্কার না হয় তাহলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। গ্রামবাসীরা আরো জানান গত কয়েকদিন আগে রাজ্যে বন্যায় অনেক কৃষি জমি থেকে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকার তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখনও একাউন্টে কোনও টাকা পাননি।
গ্রামবাসী এও বলেন, রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন গত ১২ আগস্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার পর ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের মাতাবাড়ি আইডি ব্লক অধীন ফোটামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ও ৫ নং ওয়ার্ডে এখনো পর্যন্ত প্রধান ও উপপ্রধান নামের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন না দলের প্রদেশ নেতৃত্ব। গ্রামবাসীরা কোথায় যাবে সমস্যা সমাধান নিয়ে, এই নিয়ে এক প্রকার ক্ষোভ গ্রামবাসীর মধ্যে।