স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ ডিসেম্বর : বনমিত্র কর্মীদের বনদপ্তর স্থায়ী ভাবে নিয়োগের দাবিতে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্ট ধর্নায় বসলো ৭২০ জন কর্মী সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। তবে দেখা নেই বনদপ্তরে কোন আধিকারিকদের। বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। বিদেশ থেকে পর্যন্ত পর্যটকরা রাজ্যের এই প্রধান অভয়ারণ্যে এসে প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে প্রবেশ করতে না পেরে চলে যাচ্ছেন। কালিমা লিপ্ত হচ্ছে সরকার। খবর পেয়ে ছুটে যায় বিশালগড় থানা পুলিশ প্রশাসন।
কিন্তু পুলিশের দুর্বল মনোভাবাপন্ন দায়িত্ব পালনে আন্দোলন দীর্ঘমেয়াদি দিকে এগিয়ে চলেছে। জানা যায় ২০২১ সালে অগাস্ট মাসে বনদপ্তরে উদ্যোগে নির্ধারিত সময়ের জন্য বনমিত্র প্রকল্পে সারা রাজ্য থেকে ৭২০ কুড়িজন কর্মী নিয়োগ করা হয়। তখন কর্মীদের বেতন ছিল যথাক্রমে ৩০০০ টাকা। বর্তমানে তাদের বেতন ৪৮২০ টাকা হয়েছে। কিন্তু বনমিত্র কর্মীদের বর্তমান দাবি তাদেরকে বনদপ্তরের স্থায়ীভাবে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু রাজ্য বনদপ্তরের উদ্যোগে পূর্বেই যখন তাদেরকে এই চাকুরি প্রদান করা হয় তাতে স্পষ্ট তো উল্লেখ ছিলো সেটা কখনোই অন্য প্রকল্পে নেওয়া যাবে না, এমনকি স্থায়ীভাবে নিয়োগ হবে না। কিন্তু সেসব নিয়ম সম্পর্কে অবগত থেকেও বনমিত্র কর্মী সহ তাদের পরিবার সোমবার সকাল থেকে বনভোজনের মরশুমে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় বিশালগড় থানার পুলিশ সহ টিএসআর বাহিনী। কিন্তু বনদপ্তরে কর্মীদের কোন আধিকারিকের দেখা নেই ঘটনাস্থলে।
অন্যদিকে কোনরকম ঘোষণা ছাড়াই সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের মূল ফটকে বনভোজনের মরশুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে পর্যটকরা। বনমিত্র কর্মীদের দ্বিতীয় দিনের এই ধর্নায় কোন আধিকারিকের দেখা নেই মঙ্গলবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোথায় প্রশাসন? ২৪ ঘন্টার অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেল কেন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না এই আন্দোলন নিয়ে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক রাজ্যের প্রধান এই অভয়ারণ্যে আসে। সরকারেরও আয় হয় এই অভয়ারণ্যের মাধ্যমে। কিন্তু সরকার পক্ষ এখন পর্যন্ত বিষয়টি সাধারণভাবে দেখছে। কিন্তু যারা বিদেশি পর্যটক অভয়ারণ্যে এসে ফিরে যাওয়া এবং এ ধরনের হয়রানির শিকার হওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।