Tuesday, January 14, 2025
বাড়িরাজ্যপ্রধান শিক্ষক এবং ইংরেজি শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন, ভরসা হারাচ্ছে...

প্রধান শিক্ষক এবং ইংরেজি শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন, ভরসা হারাচ্ছে সরকারি বিদ্যালয়

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ ডিসেম্বর : বিকাশ ত্রিপুরায় উন্নয়ন শুধু মাত্র মুখে মুখে। এক প্রকার ভাবে বলা যায় গল্পের গরু গাছে চড়ে। এই ধরনের গুঞ্জন রাজ্যের অভিভাবক মধ্যে। কারণ এতদিন রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে শোনা গেছে শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। বিদ্যালয় তালা দিয়ে রাস্তা অবরোধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এবার সরাসরি অভিযোগ উঠলো আগরতলা শহরের বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চৌরঙ্গীপাড়া উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয় ও চারিপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে। দীর্ঘ দশ মাস ধরে চারিপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘ দশ মাস ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন একজন ইনচার্জ। তিনি জানিয়েছেন পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই বিদ্যালয়ে।

 বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষকও নেই বিদ্যালয়ে। নির্বাচনের কাজেও দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এছাড়া বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন সময় বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্যথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। এ বিষয়টি এলাকার বিধায়িকা মিনারানী সরকারকে অবগত করা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তিনি শুধুমাত্র আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি দেখছেন। বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ গুলির মধ্যে ছাত্রছাত্রীর পরিসংখ্যান অনেক বেশি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে বিদ্যালয়ের এবং হাল হাকিকত বিগত দিনেও একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষকার তুলনায় বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। সেসব বিদ্যালয় থেকে রদ বদলের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আরো বিস্ময়কর বিষয় হলো, আগরতলা শহরে বসবাসরত বহু শিক্ষক শিক্ষিকা রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় রদবদল হলেও তারা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। আগরতলায় বসে তারা বিদ্যা ব্যবসা করছে। এসব কারণবশত বহু বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকা নজরে আসে না। জেলা শিক্ষা আধিকারিক পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনের কোন প্রয়োজন বোধ করেন না। বিদ্যালয় গুলি এ ধরনের কাহিল দৃশ্য বিগত দিনেও সামনে উঠে এসেছে। যাইহোক জেলা শিক্ষা দপ্তরের গোপন বোঝাপড়ায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন তারা। ফলে সরকারি বিদ্যালয় থেকে আজ আশা ভরসা উঠে যাচ্ছে অভিভাবক মহলের। দিন দিন কমছে সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির পরিসংখ্যান। তারপরেও বর্তমান সরকার প্রতিদিন দাবি করে চলেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে চলেছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে!

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য