স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ ডিসেম্বর : আগামী ৪ ডিসেম্বর ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা ও তার শাখা সংগঠন আই ডব্লিউ এফ টি, ইয়থ আই পি এফ টি, আটিসা এবং আই এম ডব্লি ইউ -এর ডাকে টিটিএ-এডিসি এলাকাকে নিয়ে তিপ্রাল্যান্ড রাজ্য গঠন, ভারতের পার্লামেন্টের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে ১২৫ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার দাবিতে এবং আগামী সম্ভাব্য ভিলেজ কমিটির নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। খুমুলুঙে আয়োজিত এই জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আসাম রাজ্যের ইউ পি পি এল -র বিধায়ক লরেন্স ইলিস্তারি।
সোমবার কৃষ্ণনগর স্থিত দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন আইপিএফটি -র সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেববর্মা। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি রাজ্যে পুস্পবন্ত প্রাসাদ স্থিত পুরোনো রাজ্যপাল ভবনকে ভেঙ্গে তাজ গ্রুপকে দিয়ে একটি পাঁচতারা হোটেল নির্মান করার সরকারী পরিকল্পনা নিয়ে অহেতুক অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার বিষয় নিয়ে আই পি এফ টি অসন্তুষ প্রকাশ করছে। ভারতের সংবিধানের ৪৯ নং ধারায় ভারতের সমস্ত ঐতিহাসিক প্রাসাদ ও স্থান, কীতিস্তম্ভ, স্মৃতিসৌধ, স্মৃতিচিহ্ন, স্মৃতিলিপি ইত্যাদিকে সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে এবং তার জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের আইন তৈরী করা রয়েছে। ত্রিপুরাতেও দ্য ত্রিপুরা এনচ্যান্ট মনুম্যান্ট অ্যান্ড আরকিওলজিক্যাল সাইটস এন্ড রিম্যাইন্ডস অ্যাক্ট, ১৯৯৭ তৈরী করা আছে। এই আইনের মাধ্যমে রাজভবন ভেঙ্গে ফেলা তো দূরে থাক, বিল্ডিং পুরোনো হলে এটাকে সংস্কার করে সংরক্ষিত রাখতে হবে। অন্যথায় উপযুক্ত শাস্তি ও জরিমানার প্রভিশন রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার এসব ঐতিহাসিক বিষয়গুলোর উপর আইন তৈরি অথবা আইন সংশোধন করতে পারেন, কিন্তু সংবিধানের মূল আইনকে লঙ্ঘন করে আইন তৈরী বা সংশোধন করতে পারেন না। কাজেই রাজ্য সরকার এবং তার প্রবক্তাদেরকে দিয়ে এবিষয়ে যাচাই করে বিবৃতি দেওয়া উচিত বলে আই পি এফ টি দল মনে করে।
আই পি এফ টি-র বক্তব্য হল, প্রয়াত রাজস্ব মন্ত্রী এন সি দেববর্মা মন্ত্রীত্ব থাকাকালীন গত ২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর মহামান্যা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মকে দিয়ে রাজ্যের আগরতলাস্থিত পুস্পবন্ত প্যালেস-এর পুরোনো রাজ্যপাল ভবনকে ডিজিট্যাল মিউজিয়াম তৈরীর জন্য শিল্যান্যাস করা হয়েছিল এবং তার জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য দাবি জানান।