স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ অক্টোবর : বিকাশ ত্রিপুরায় উন্নয়নের বক্তৃতার পাহাড় জমছে। বাস্তবে সাধারণ পরিষেবা পর্যন্ত মিলছে না আমজনতার। এমন দৃশ্য রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে গেলে অহরহ প্রত্যক্ষ করছে রোগীর পরিবার পরিজন। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে রয়েছে দুই দুইটি অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু নেই চালক। ফলে দুর্ভোগের শিকার সঙ্কটাপন্ন রোগীর পরিবার পরিজন। রবিবার এক সঙ্কটাপন্ন রোগীকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে রোগীর পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভর্তি করার প্রায় ৩০ মিনিট পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এই রোগীকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন। রোগীর পরিবারের এক সদস্য জানান প্রথমে তাদেরকে হাসপাতাল থেকে বলা হয় হাসপাতালে কোন এ্যাম্বুলেন্স নেই। অথচ হাসপাতালে ঠাই দাড়িয়ে রয়েছে দুই দুইটি এ্যাম্বুলেন্স। পরে হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান হাসপাতালে এম্বুলেন্স থাকলেও নেই চালক।
ফলে স্ট্রেচারে রোগী নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় দাড়িয়ে থাকতে হয় রোগীর পরিবারের লোকজনদের। প্রশ্ন হচ্ছে চালক না থাকলে হাসপাতালে এম্বুলেন্স দিয়ে কি হবে। এতে কি সাধারন মানুষের কোন উপকার হবে। সাধারন মানুষ যদি পরিষেবা না পায় তবে কেন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে হাসপাতালে এম্বুলেস প্রদান করা হয়। আর এভাবে চলতে থাকলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে হাব স্বপ্নেই থেকে যাবে। বাস্তবে আর পূরণ হবে না। চিকিৎসা পরিষেবা মানুষের মৌলিক চাহিদা আওতায় আসে। আর এই পরিষেবা নিতে গিয়ে মানুষকে প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালগুলোতে হেস্তনেস্ত হতে হয়। যা মন্ত্রীরা বা রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের আমলারা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারে না। তারা শুধু সাংবাদিক সম্মেলন দেখে ফটো সেশন করে দায়িত্ব খালাস। কিন্তু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের কি হাল হাসপাতাল গুলিতে রয়েছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।