স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ অক্টোবর : সরকারি উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ বিপাকে ফেলেছে এলাকাবাসীকে। একতা মলের স্বার্থে চলছে পুকুর ভরাট। হতাশ আমতলী বাইপাস সংলগ্ন এলাকার মানুষ। জানা যায়, গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলী থানা সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পাশে একতা মল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর সেই মল তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শিলান্যাস হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে। রবিবার সকাল থেকে কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরুতেই এলাকাবাসীকে অসন্তুষ্ট করল প্রশাসন।
এলাকায় একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয় মানুষ সারা বছর প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। আশেপাশের এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা এই জলাশয় থেকে জল সংগ্রহ করেন। শুধু তাই নয়, এলাকার ঐতিহ্য ছট পূজা বহু বছর ধরে এই পুকুরকে ব্যবহার করে আয়োজন করা হয়। কিন্তু এদিন সকাল থেকে জলাশয়ের একপাশে দিয়ে মেশিনের সাহায্যে মাটি ভরাট করার কাজ চলছে। এক্ষেত্রে মল তৈরিতে মানুষ খুশি হলেও জলাশয় ভরাট করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর বক্তব্য সারা বছর এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পুকুরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ প্রতিদিন করে চলেছে এলাকাবাসী।
এই পুকুরের সাথে মানুষের দৈনন্দিন কাজ এমনভাবে জড়িত যে পুকুর ছাড়া তারা বড় সমস্যায় পড়বে। কিন্তু এদিন সকাল থেকে আচমকা পুকুর ভরা শুরু করেছে ঠিকাদারের অধীনে থাকা কর্মীরা। সরকার উন্নত মানের মল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তারা খুশি, কিন্তু মানুষের উপকারে আসা জলাশয়টি বাদ দিয়ে যেন মল তৈরি করা হয়। এবং তারা সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন পুকুর ভরাট করলে মানুষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাহলে এই ঠিকাদারি সংস্থা কিভাবে পুকুর ভরাট করে চলেছে। আইন কি সবার জন্য এক নয়? তাদের আরো বক্তব্য এলাকায় বহু আগে থেকে এই পুকুরটি ব্যবহার করে আসছে এলাকাবাসী। যার কারণে এলাকায় আর কোন পুকুর নেই। গত কয়েকদিন আগে যখন আমতলী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল তখন ফায়ার সার্ভিসের ইঞ্জিনের জল ফুরিয়ে যায়, পরে এই পুকুর থেকে জল সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে এই পুকুরটি ভরাট করে ফেললে বিপদের সময় জল পাওয়া যাবে না বলে জানান এলাকার যুবক জয়ন্ত দে।