স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ অক্টোবর : সপ্তমী থেকে দশমী। পুজোর চারদিনেই বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে শহরবাসীকে। পুজো দেখতে কোন পুজো মন্ডপে ঢুকেছেন কোন দর্শনার্থী। হঠাৎ অন্ধকার। কি ব্যাপার। না লোডশেডিং। সপ্তমী থেকে অষ্টমীর রাতে শুধু রাজধানীতেই বিদ্যুৎ চপলতার মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। রাজধানীর যখন এ অবস্থা তখন সারা রাজ্যের অবস্থাটা কি ছিল তা সহজেই অনুমেয়।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব যখন একদিকে পুজো দেখছিলেন তখন অন্যদিকে লোডশেডিং। সপ্তমীর রাতে সেভেনটিনাইনটিলার এসএলডিসি বা স্টেট লোড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলে আগুন ধরে যায় বলে খবর। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় এসএলডিসি। রাতে ছুটে যান উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ঞু দেব্বরমা। তিনি সিএমডি সহ নিগমের আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে বসেন। পুজোর সময় এবারের মত কেলেঙ্কারির মুখে কখনো পরতে হয় নি নিগমকে।
পুজোর প্রথম রাত বা সপ্তমীর রাতে রাজধানীর আস্তাবল, হরিগঙ্গা বসাকরোড সহ বিস্তীর্ণ এলাকা হঠাৎ করে অন্ধকার হয়ে যায়। অষ্টমীতেও একই অবস্থা। দিনের বেলার ঘন ঘন বিদ্যুত চপলতা সইতে হয়েছে সাধারন মানুষকে। পুজোর সময় এরকম অবস্থার মধ্যে কখনো পরতে হয়নি পুজো দেখতে বেরনো সাধারণ মানুষকে। একদিকে গরমের অস্বস্তি, অন্যদিকে চারিদিকে অন্ধকার। সপ্তমীতে আদ্রতা সবচেয়ে বেশি ছিল বলেই গরমে হাসফাস অবস্থা। অষ্টমী, নবমীতেও অস্বস্তিকর পরিবেশ ছিল। মহাঅষ্টমীর গভীর রাতে শহরদক্ষিনাঞ্চল, বর্ডারগোলচক্করের আশপাশ এলাকার মানুষকে বিদ্যুৎ চপলতার মুখে পড়তে হয়েছে।
এটাই কি তাহলে গুনগত বিদ্যুত সরবরাহ। তবে রাজ্যের ইতিহাসে সপ্তমীর রাতে বিদ্যুৎ চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে অর্থাৎ তিনশো ছাব্বিশ মেগাওয়াটে পৌঁছায়। গত বছর পুজোর সময়ে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল দুইশো চুয়াত্তর মেগাওয়াট। পুজোর সময় নিগমের বির্পযয়ের জন্য কেলেকেই দায়ী করছেন অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা। কেলে জানতেন,এবার পুজোতে বির্পযয়ের মুখে পড়তে হবে নিগমকে। তাই দায়িত্ব বন্টন করে দিয়েছিলেন তিনি।।