Friday, November 8, 2024
বাড়িরাজ্যআদালতের নির্দেশ নিয়ে সরব হল আমরা বাঙালি

আদালতের নির্দেশ নিয়ে সরব হল আমরা বাঙালি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ অক্টোবর : গত ১৭ই অক্টোবর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪:১ রায়ে নাগরিকত্ব আইনের ‘৬-এ’ ধারাকে বৈধ ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পর অসমে আসা বাঙালি শরনার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয় বলে ঘোষণা করেছে। ৬-এ ধারাটি নাগরিকত্ব আইনে যুক্ত হয়েছে। ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি সম্পাদনের পর এবং তার আগে ১৯৫৫ সালের ভারতের নাগরিকত্ব আইনে ছিল- জন্মসূত্রে, উত্তরাধিকার সূত্রে, বৈবাহিক সূত্রে।

 ভারতের সংবিধান মেনে কোনরাজ্যে কমপক্ষে ৫ বছর একটানা বসবাস করলে যে কোন মানুষই নাগরিকত্ব অর্জনের যোগ্যতা পেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণ তথা অসম চুক্তির ফলে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন ও তৎমোতাবেক মহামান্য কোর্টের রায়ের ফলে অসম, ত্রিপুরা, উত্তর পূর্বাঞ্চল সহ গোটা দেশে বাঙালীদের মনে এখন নাগরিকত্ব অর্জনের প্রশ্নে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কের আরো কারণ হলো, অসম রাজ্যে ২০১৯ সালে এন আর সি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষের মতো বাঙালিকে বিদেশী চিহ্নিত করে ডিটেনশান ক্যাম্পে পাঠাবার ব্যবস্থা করা ও সাম্প্রতিক কোর্টের ঘোষণা অনুযায়ী অসম- পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে লক্ষ লক্ষ বাঙালির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।

 ইতোমধ্যেই অসমচুক্তি পুরোপুরি কার্যকরী করার যেমন তোড়জোর শুরু হয়েগেছে তেমনি শীঘ্রই গোটা উত্তরপূর্বাঞ্চল তথা ত্রিপুরাসহ অন্যান্য অঞ্চলেও যে বাঙালী বিতাড়নের দাবী উঠবে এই আশঙ্গাই তীব্রভাবে এখন কাজ করতে শুরু করেছে। শনিবার আমরা বাঙালি রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন দলের রাজ্য সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল। তিনি আরো বলেন, কোর্টের বর্তমান ঘোষণায় ত্রিপুরার ৮০ জুনের বাঙালী গণহত্যা ও ৮৩-র অসমের নেলীর বাঙালী গণহত্যা নায়কেরা যে উৎসাহিত হবে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাঙালীদের আরও ভয়ের কারণ হলো- স্বাধীনতার পর থেকে ধারাবাহিক বঞ্চনা, অত্যাচারের পরও কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপির মতো সর্বভারতীয় কোন রাজনৈতিক দল আজ পর্যন্ত বাঙালীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে বিধানসভা বা লোকসভায় একটা কথাও বলেনি। আমরা বাঙালীদল সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বাঙালী বঞ্চনার বিরুদ্ধে ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে লড়াই করে চলেছে। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি দাবি জানান, বাঙালির রেজিমেন্ট গঠন করা, সংবিধানের ৩ নং ধারা অনুযায়ী আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ বাঙালি অঞ্চলগুলি নিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণ অঞ্চল গঠন করা এবং অবিভুক্ত ভারতের ভূমিপুত্র বাঙালিদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য