আগরতলা, ৭ এপ্রিল (হি.স.) : আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তাঁর সাথে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীও ওই রেলপথ নির্মাণকাজ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আখাউড়ার শিবনগরে দুই দেশের জিরো পয়েন্টে দুজনেই আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রেলপথ নির্মাণকাজ সমাপ্ত না হলে নতুন ঠিকাদারি সংস্থা বাছাই করা হবে বলে পরিদর্শন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে সাফ জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী।
১৫.৬ কিমি দীর্ঘ আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। মাঝে কোভিডের কারণে কাজে অনেকটাই বিলম্ব হয়েছে, তা অস্বীকার সুযোগ নেই ঠিকই। তবুও বাংলাদেশ সরকার ভারতের অর্থানুকুল্যে ওই রেলপথ নির্মাণ কাজ সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করার করা বার্তা দিয়েছে।গোটা রেলপথে ৫.৪৬ কিমি রয়েছে ভারতের অংশে। ওই নির্মাণকাজ জোর কদমে চলছে। বলা যায়, অনেকটা সমাপ্তও হয়ে গেছে। ফলে, বাংলাদেশের অংশে কাজের শ্লথগতি আজ রেলমন্ত্রীকে ভীষণ হতাশ করেছে।
এদিন তিনি বলেন, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্কে আরও হৃদ্যতা আনার ক্ষেত্রে ওই রেলপথ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি দেখে আমরা ভীষণ হতাশ হয়েছি। তাঁর কথায়, রেলপথ নির্মাণে ঠিকেদারি সংস্থাকে আমরা কাজের বরাত দিয়েছি। কিন্তু সময়ের মধ্যে আদৌ তাঁরা কাজ সমাপ্ত করতে পারবে বলে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ঠিকাদার সংস্থা কোভিডের কারণে কাজে বিলম্ব হয়েছে বলে যুক্তি দেখাচ্ছে যা অযৌক্তিক বলে মনে করছি না। তাই আগামী জুন পর্যন্ত তাঁদের চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ওই রেলপথ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে খুশি হব। সাথে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্ধিত সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত না হলে ঠিকেদারি সংস্থার বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে নতুন ঠিকেদার নিয়োগ করা হবে।
এদিন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। বর্ধিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য আমার সহকর্মীরা নিয়মিত এখানে আসছেন। প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য আমরাও চাপে আছি, হতাশার সুরে এমনটাই বলেন তিনি।