Friday, February 7, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদরাশিয়ার বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেইন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেইন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ এপ্রিল। ইউক্রেইন চায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক যেন তা অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে দেশটিকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করে।

যুদ্ধাপরাধ হিসেবে পশ্চিমের নিন্দা সত্ত্বেও কিছু দেশ বেসামরিক হত্যার জন্য শাস্তির চেয়ে এখনও টাকাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কিইভ।  

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার ভোররাতে দৈনিক ভিডিও ভাষণে বলেছেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং দেশটির ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি ব্লক করে দিতে হবে।

ইউক্রেইনের বুচা শহরে বেসামরিকদের লাশ পড়ে থাকার বিভিন্ন ছবি আন্তর্জাতিক নিন্দার কারণ হওয়ার পর জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনীগুলো তাদের নৃশংসতার প্রমাণ ঢাকার চেষ্টা করছে।“আমাদের কাছে খবর আছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের কৌশল পরিবর্তন করে রাস্তায় ও বেসমেন্টে যাদের হত্যা করেছে তাদের সরানোর চেষ্টা করছে। এটি শুধু প্রমাণ ঢাকার একটি চেষ্টা আর কিছু নয়,” কোনো প্রমাণ না দিয়েই জেলেনস্কি এমনটি বলেছেন বলে তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।অপরদিকে মস্কো বেসামরিকদের লক্ষ্য বানানোর কথা অস্বীকার করে বলেছে, বুচার মৃতদেহের ছবিগুলো সাজানো যা মস্কোর বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপকে বৈধ্যতা দিতে ও শান্তি আলোচনাকে লাইনচ্যুত করতে করা হয়েছে। 

রাশিয়ার কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এর ছয় সপ্তাহে ইউক্রেইন থেকে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে, আরও কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে আর দেশটির এক চতুর্থাংশ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধে ইউক্রেইনের শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর জেরে রাশিয়ার অর্থনীতি ও দেশটির অভিজাত শ্রেণির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।যুক্তরাষ্ট্র বুধবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাসহ দেশটির স্বিয়ারব্যাংক ও দেশটিতে মার্কিন বিনিয়োগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। “এই ভয়ানক যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অবশ্যই এমন ধ্বংসাত্মক হতে হবে যেন তা আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়,” বলেছেন তিনি। 

“আমার লক্ষ্য হল, রাশিয়ার প্রযুক্তি, সরঞ্জাম, খনিজ এবং আকরিক, বিরল মৃত্তিকার সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আর এইভাবে দেশটির অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করা।”এর আগে জেলেনস্কি কিছু পশ্চিমা দেশের সমালোচনা করে আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্টে সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের একমাত্র যে বিষয়টির অভাব রয়েছে তা হল কিছু নেতার নীতিগত ধরন, যারা এখনও মনে করেন যুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ আর্থিক ক্ষতির মতো ভয়ানক কিছু নয়।”ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিকরা বুধবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়। র্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান চুক্তিগুলোতে প্রভাব ফেলবে কি না, এ ধরনের কিছু ইস্যু পরিষ্কার করার প্রয়োজন রয়েছে।ইইউয়ের সদস্য দেশ হাঙ্গেরি জানিয়েছে, রাশিয়ার গ্যাসের মূল্য রুবলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।দেশটির এ সিদ্ধান্ত ইইউয়ের বাকি দেশগুলোর অবস্থানের বিপরীত আর এতে রাশিয়ার জ্বালানীর ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতার বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। এ নির্ভরতার কারণেই ইইউ মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।  

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য