স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ অক্টোবর : সুশাসন জামানায় বিচার চাওয়াও অপরাধ। থানায় মামলা করলে শাসক দলের বুথ সভাপতিকেও আক্রান্ত হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় পিস্তল উঁচিয়ে প্রাননাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে কুখ্যাত মাফিয়া কানাই সাহা। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে কার্নিভাল অনুষ্ঠানে। রাজধানী পোস্ট অফিস চৌমুহনি সংলগ্ন এলাকায় চিত্তরঞ্জন ক্লাবের প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় চিত্তরঞ্জন ক্লাবের বাউন্সাররা চারজন শিশুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে শিশু ও মহিলাদের উপর আক্রমণ করে চিত্তরঞ্জন ক্লাবের বাউন্সাররা।
আহত হয় চারজন শিশু। পরে প্রতিবাদী অভিভাবক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। তারপর অভিযুক্ত বাউন্সারদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে অভিভাবকরা বিক্ষোভে শামিল হয়। কিছুক্ষণ পর দ্বীপ এবং ভিকি নামে দুজন অবরোধস্থলে এসে অভিভাবকদের ধমক দিয়ে বলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলবে, তাড়াতাড়ি রাস্তা অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য! পরবর্তী সময় পুলিশের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেয় অভিভাবকরা। কয়েক ঘন্টা পর গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত এক বাউন্সার। তারপর অভিভাবকরা অভিযুক্ত বাউন্সারের বিরুদ্ধে পশ্চিম আগরতলা থানায় মামলা করে বাড়িতে যায়। মঙ্গলবার দুপুর বেলা মামলাকারী একজনের বাড়িতে গিয়ে চিত্তরঞ্জন এলাকার মাফিয়া কানাই সাহা, অর্জুন, বিজয়, বিষ্ণু এবং তনুজ সহ কয়েকজন গিয়ে ধমকিয়ে চমকে আসে।
এবং ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩২ নং ওয়ার্ডের ২১ নং বুথ সভাপতি কিংকর সাহার হোটেলে যায়। হোটেলে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় কানাই সাহার দলবল। তারপর বুথ সভাপতি কিংকর সাহার বাড়িতে এসে লাঠি, রড সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আক্রমণ করে। কিংকর সাহাকে মারধর করে। পিস্তল উঁচিয়ে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়। শেষ পর্যন্ত পশ্চিম আগরতলা থানায় এসে আবারো মামলা করলেন কিংকর সাহা এবং তার পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে করজোড়ে শ্রী সাহা সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন। কতিপয় মাফিয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র পর্যন্ত এবার দুঃশাসনের ভাগীদার হতে চলেছে। কিভাবে মুছবে এই দুঃশাসনের কলঙ্ক? প্রশ্ন আম জনতার। আরো জানা যায় ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় সাহার কাছে সহযোগিতা চাইলে পাশে দাঁড়ায় নি।