স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ এপ্রিল : বিকলাঙ্গ শব্দটা একটা অপমানসূচক শব্দ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের দিব্যাঙ্গজন হিসাবে সম্বোধন করেছেন। বর্তমানে অলিম্পিকে সাফল্য পাচ্ছে দিব্যাঙ্গজনরা। এমনকি দিব্যাঙ্গজনরা এভারেস্টেও যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভগৎ সিং যুব আবাসে দিব্যাঙ্গজনদের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য উৎসবে বক্তব্য রেখে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের পথ চলা শুরু করেছে। একটা সময় শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের বিকলাঙ্গ বলা হত। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন সবকিছু থাকার পরেও অনেক কিছু হয় না। যার কাছে কিছু কম রয়েছে সেই বেশি কিছু করতে পারে। এটাই বাস্তব। দিব্যাঙ্গজনদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সব সময় মনকে খুশি রাখবেন। অনেক সন্তান রয়েছে যাদের মধ্যে মানবিকতা নেই। সেই সকল সন্তানদেরকে নিয়ে তাদের অভিভাবকরা সব সময় চিন্তিত থাকে। এমন অনেক সন্তান রয়েছে যাদের কাছে সবকিছু রয়েছে, কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় তারাই মা বাবাকে দুঃখ কষ্টের মধ্যে রাখে। সুস্থ শারীরিকভাবে সক্ষম যুবক-যুবতীরা বর্তমানে নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিরা পথে নেশা করছে। ফলে তারা এইডস-এ আক্রান্ত হচ্ছে। তারা সমাজকে কুলুষিত করছে। কিন্তু দিব্যাঙ্গজনরা কোন দিন নেশার প্রতি আসক্ত হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে দিব্যাঙ্গজন হিসাবে সম্বোধন করেছেন।
দিব্যাঙ্গজনদের অবহেলা নয় তাদেরকে সামনে নিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এইদিন অনুষ্ঠানে দিব্যাঙ্গজন ছেলে মেয়েরা যোগা পরিবেশন করে। মুখ্যমন্ত্রী বেশকিছু সময় দিব্যাঙ্গজনদের সাথে কাটান। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর ও তার গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ভারত সরকারের উদ্যোগে সমগ্র দেশে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে বৃহস্পতিবার দিব্যাঙ্গজনদের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। এইদিন ভগৎ সিং যুব আবাসে বৌদ্ধিক অক্ষমতাযুক্ত অ্যাথলিটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার সহ অন্যান্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিব্যাঙ্গজনরা এইদিনের অনুষ্ঠানে সামিল হয়।