স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ অক্টোবর : যখনই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন দিশা দেখিয়েছে জিবিপি হাসপাতাল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই জিবিপি হাসপাতালে বহু সেনা জওয়ান পরিষেবা পেয়েছে। এবং তৎকালীন সময় যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা সেনাদের পরিষেবা দিয়েছে তাঁদের আজও মনে রেখেছে মানুষ। পাশাপাশি কোভিড অতিমারির সময় জিবিপি হাসপাতাল হাজার হাজার মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। সারা দেশে জিবিপি হাসপাতালের বিশেষ নাম রয়েছে। সোমবার জিবিপি হাসপাতালের ৬৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রেখে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন জিবি হাসপাতাল যখন পথ চলা শুরু করেছিল। তখন কিছুই ছিল না বলা চলে। বর্তমানে জিবি হাসপাতালের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। একটা সময় বিএম হাসপাতাল অর্থাৎ বর্তমানে আইজিএম হাসপাতালে অস্ত্র পচার থেকে বিভিন্ন পরিষেবা চালু ছিল। তারপর প্রয়োজনের তাগিদে জিবি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। জিবি হাসপাতালের জন্য তৎকালীন সময় মহারাজ কিরীট বিক্রম বাহাদুর জমি দান করেছিলেন। জিবি হাসপাতাল যখন চালু হয়েছিল তখন এসি মেশিন ছিল না। কিন্তু অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। সেই সময় জিবি হাসপাতালে চাকুরি করা একটা গর্বের বিষয় ছিল। বর্তমানে জিবি হাসপাতালের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ হবে কেউ কোনদিন ভাবতে পারে নি। বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করার জন্য উদ্যোক্তারা রাজ্যে আসছে। জিবি হাসপাতালে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা চালু রয়েছে।
৯ টি সুপার স্পেসালিটি বিভাগ জিবি হাসপাতালে চালু করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন জিবি হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্তা বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মনিপুরের সিজা হাসপাতাল রাজ্যে হাসপাতাল স্থাপন করতে চাইছে। তাদের জন্য একটা জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সকল সরকারি প্রক্রিয়া শেষ হলে মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আগরতলা শহরের বুকে একটি জায়গা রয়েছে। বাইরের কোন হাসপাতাল আসতে চাইলে তাদেরকে সেই জায়গা দেওয়া হবে। তবে শর্ত থাকবে তারা রাজ্যের সুপার স্পেশালিষ্ট চিকিৎসকদের ব্যবহার করতে পারবে না। তাদেরকে বহিঃরাজ্য থেকে সুপার স্পেশালিষ্ট ডাক্তার নিয়ে আসতে হবে। এই শর্তে সম্মতি প্রকাশ করলে তবেই এই জায়গা প্রদান করা হবে। এই বিষয়ে সহসাই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়িকা মিনারানী সরকার, রাজ্যের মুখ্য সচিব জে.কে সিনহা, ও এন জি সি -র এসেট ম্যানেজার কৃষ্ণ কুমার, জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডাক্তার শংকর চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।