স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ অক্টোবর : স্বামীর মৃত্যুর পর প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে নেতা সকলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কথা দিয়ে কেউই কথা রেখে নি। ফলে শাশুড়ির ভাতার উপর নির্ভর করে সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। ডম্বুর জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হওয়া সঞ্জিত নন্দির স্ত্রী এই অভিযোগ করেন। জানা যায়, সাত মাস পূর্বে ডুম্বুর জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় ৪ জনের। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মহকুমা শাসক মৃত পরিবার গুলিকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মৃতদের পরিবার এখনো কোন সাহায্য পায় নি বলে অভিযোগ।
ডম্বুর জলাশয়ের জলে ডুবে যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন হল নারায়ণপুর ভিলেজের জয়কিশোর পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জিত নন্দি। মৃত সঞ্জিত নন্দির স্ত্রী রানু বিশ্বাস জানান তার স্বামী সঞ্জিত নন্দী সাত মাস পূর্বে ডুম্বুর জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে মারা যান। সেই সময় সকলে ওনার পাশে ছিল। বর্তমানে কেউই তার পাশে নেই। বর্তমানে তিনি নিজের জরুরী কাগজপত্র গুলি ঠিকঠাক করতে পারছেন না। তিনি আক্ষেপের সুরে জানান আগেও ওনার একবার বিয়ে হয়েছিল। স্বামী মারা যাওয়ার পর ওনার দ্বিতীয় বিয়ে হয় সঞ্জিত নন্দির সাথে। দ্বিতীয় স্বামীও দুর্ঘটনায় মারা যায়। বর্তমানে ওনার এক সন্তান রয়েছে। অসহায় অবস্থার মধ্যদিয়ে তিনি দিন যাপন করছেন। বৃদ্ধা শাশুড়ির সামাজিক ভাতার উপর নির্ভর করে দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। সরকারি সাহায্যের জন্য মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
কিন্তু মহকুমা শাসকের অফিস থেকে ওনাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সঞ্জিত নন্দি ওনার স্বামী ছিলেন তার কোন নথি নেই। এই অবস্থায় তিনি কি করবেন বুঝতে পারছেন না। কেউই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করছে না প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র বের করার জন্য। মৃত সঞ্জিত নন্দির স্ত্রী এক প্রকার অসহায় হয়ে জানান কেউই তাকে সাহায্য না করলে তিনি কি ভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি বের করবেন। এখন দেখার স্থানীয় শাসক দলীয় নেতৃত্বরা মৃত সঞ্জিত নন্দির স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি দ্রুত বের করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কিনা। এদিকে খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালে ছুটে যান বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। পরিবারের পাশে থাকা আশ্বস দেন।