স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দেশের দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার আগরতলা টাউন হলে উত্তর পূর্বাঞ্চল এনএসএস উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, উত্তর-পূর্বের জন্য ‘অষ্টলক্ষ্মী’-এর মতো কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি না বলা পর্যন্ত আমরা শুনিনি। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সমস্ত ক্ষেত্রের উন্নয়নে তিনি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এটাই তার প্রমাণ। অতীতে শুধু এই অঞ্চলে সন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করেছি আমরা। অথচ এর আগেও অনেক সরকারের শাসন ছিল। কিন্তু কেউ এই অঞ্চলের উন্নয়নে বাস্তবিক পদক্ষেপ নেয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে এনইসি বৈঠকের সময় উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা বলেছেন এখন তারা নিজেদের ভারতীয় হিসেবে অনুভব করেন। ডাঃ সাহা বলেন, আগে আমরা দেশের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। উপেক্ষিত ছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চল এখন সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হয়েছে। উত্তর পূর্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নের স্রোত প্রত্যক্ষ করছি। যা দেশের মূল স্রোতের অংশ হয়েছে। এতে খুবই ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া ভারতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি বাস্তবায়ন সহ ভিস্তা ডোম ট্রেন পরিষেবা চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য কিছুই অসম্ভব নয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগে উত্তর-পূর্বের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য এই অঞ্চলের বাইরে যেতে হত। কিন্তু এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ সব ক্ষেত্রে উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের হীরা মডেল দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় আমি হেলিকপ্টার ব্যবহার না করে গাড়ি ও ট্রেনে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। আমাদের এখন জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক রয়েছে। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য। আজ উত্তর-পূর্বে শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। ত্রিপুরায় তিনটি সহ এই অঞ্চলে প্রায় ১২টি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল ও কলেজগুলিতে এনএসএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দেশকে প্লাস্টিক-মুক্ত করার জন্য কাজ করা এবং বৃহৎ পরিসরে বৃক্ষরোপণের জন্য সকলের কাছে আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী, ত্রিপুরা সৈনিক কল্যাণ বোর্ডের আধিকারিক মেজর ডাঃ কাকলি ধর, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের প্রোগ্রাম অফিসারগণ সহ অন্যান্যরা।