স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ সেপ্টেম্বর : খবরের শিরোনাম একাধিকবার দখল করেছে জিবি হাসপাতালের ডায়ালিসিস পরিষেবা। কি সরকারি, কি বেসরকারি, দিন দিন অধঃপতন ঘটছে প্রধান রেফারেল হাসপাতালের ডায়ালাইসিস পরিষেবা। বিগত দিনে কখনো জল নেই, কখনো মেশিন বিকল থাকার অভিযোগ তোলে বহুবার হাসপাতালের ভেতরেই রোগীর পরিবার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। তারপর গত আগস্ট মাসের ৩ তারিখ সঞ্জীবনী সংস্থাকে জিবি হাসপাতালের ডায়ালাইসিস পরিষেবা দেওয়া হয়।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই সংস্থার হাতে ভার যাওয়ার পর থেকে পরিষেবা আরো বেশি অবনতি হয়েছে। তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে জিবি হাসপাতালের ডায়ালিসিস পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে রোগীর পরিবার পরিজনরা। বাধ্য হয়ে রবিবার রোগীর পরিবার পরিজনরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়। কিন্তু রোগীর পরিবার পরিজনরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। কারন পুলিশ তাদেরকে আটকে দেয়। কারন তাদের কাছে আগাম কোন অনুমতি ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার। এইদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা রোগীর পরিবার পরিজনরা জানান আগে জিবি হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা ভালো ছিল। বেসরকারি সংস্থার হাতে ডায়ালিসিস পরিষেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর ডায়ালিসিস পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। সরকারি ভাবে মিলছে না কোন ধরনের ঔষধ। এমনকি ডায়ালিসিস-এর জন্য প্রয়োজনীয় জলও মিলছে না। ফলে রোগী মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দেড় মাসে ৪০ থেকে ৪২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ডায়ালাইসিস পরিষেবার দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহেলা প্রত্যক্ষ করেছে তারা। এক রোগী মারা যাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর অবগত হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রতিদিন এরূপ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছে হাসপাতালে যাওয়া রোগীর পরিবার। কোন যত্ন সহকারে ডায়ালাইসিস করা হয় না। বিশেষ করে অধিকাংশ সময় তারা আড্ডা বসিয়ে রোগীদের হয়রানি করছে। আবার কখনো কখনো জল নেই আবার ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট বলে রোগীর পরিবারকে বসিয়ে রাখছে বলে অভিযোগ। তাই নিরুপায় হয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হয়ে সঞ্জীবনীকে পরিষেবা থেকে সরানোর জন্য দাবি করতে এসেছিলেন রোগীর পরিবার-পরিজন।