স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ অক্টোবর : হারানোর মতো আর কোন কিছু নেই। এ রাজ্যের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহানুভূতি রয়েছে। ত্রিপুরার প্রতি উনার সুদৃষ্টি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাকে আলাদাভাবে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন হলেই করোনার টিকা করন সম্ভব হয়েছে। ৬০ শতাংশের কাছাকাছি দ্বিতীয় দজ প্রদান করা হয়ে গেছে। ১০০ শতাংশ টিকাকরণের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে পাঁচটি রাজ্য রয়েছে।
তার মধ্যে একটি রাজ্য হল ত্রিপুরা। বৃহস্পতিবার বিজেপি ৮ নং বড়দোয়ালী মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আরো বলেন ত্রিপুরা রাজ্য ছোট হতে পারি কিন্তু রাজ্যবাসীর মানসিকতা ছোট নয়। মানসিকতা দুর্বল হলে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। তাই মানসিকতা সুদৃঢ় রাখতে হবে। একটা সময় লকডাউন এর ফলে মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি। কাজকর্ম সবকিছু বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মার্ক দর্শনে তার থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকলে বর্তমানে যেভাবে দূর্গা উৎসব পালন করা হচ্ছে ঠিক সেইভাবে হয়তোবা পালন করা সম্ভব হতো না। টিকাকরণ না হলে এভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে পূজা শামিল হওয়া সম্ভব হতো না। সাধারণত মনে হয় সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে কোনো কিছু স্বাভাবিকভাবে হয় না। অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে বর্তমান সরকার চলে না। পুরনো সরকারের অভ্যাস ছিল অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার। অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে একজন মুখ্যমন্ত্রী তার দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
অন্যের উপর দোষ চাপাতে হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত। ৩০ থেকে ৩৫ বছর রাজ্যের মানুষ দেখেছে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার রীতি। অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে ত্রিপুরার মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা হতো। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষ কোন কিছুই পায়নি। স্বাভাবিক নিয়মে যা হয় সেই কাজই হয়েছে। তার বাইরে কোনো কাজ হয়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগেই আগরতলায় পাঁচ তলার উপর বিল্ডিং তুলতে দেওয়া হতো না। বর্তমানে আগরতলায় ১০ তলা ১৪ তলা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। আগরতলার রামনগরে লাইট হাউজ তৈরি হচ্ছে গরিবদের জন্য। পুরনো সরকার থাকতে একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য একতলা বিল্ডিং তুলতে তিন থেকে চার বছর লাগিয়ে দিয়েছে। পুরনো সরকার প্রায় ৪০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ অর্ধনির্মিত অবস্থায় রেখে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ৩৫৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত এনে সেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরাতন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় ছিল না কোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে দেখা করার। মানসিকতা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। যার কাছে মানসিক মনোবল রয়েছে সে গরিব নয়। কোন ব্যক্তির কাছে অর্থ থাকলেও তার মানসিক মনোবল যদি না থাকে তবে সে গরিব। আর্থিকভাবে কেউ সফল আবার কেউ দুর্বল হতে পারে। মানসিক মনোবলের দিক থেকে কারুর দুর্বল হওয়া উচিত নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, মুখ্যমন্ত্রী জায়া নীতি দেব সহ অন্যান্যরা।