স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ সেপ্টেম্বর : ১৯ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন জেলা জুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। যার ফলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে এবং জনজীবন ও সম্পদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বনদপ্তরের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪৫০-৪৭০ টি চেকড্রাম পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়েছে। এগুলি মেরামত করা যাবে না। পাশাপাশি সেন্ট্রাল নার্সারি গুলির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এগুলি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শাল, সেগুনের প্লান্টেশনের ক্ষতি হয়েছে। রেঞ্জারের অফিস, বড় কর্মীদের আবাসন এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার গুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ফরেস্ট এলাকার দেওয়ালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সার্বিকভাবে বনদপ্তরের প্রায় ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এই বন্যায়। কিন্তু বনদপ্তরের নিজস্ব হিসেব অনুযায়ী এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা হবে। এখনো বহু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রয়েছে যেখানে রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে বনকর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। সবশেষে ক্ষতির পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।
তিনি আরো বলেন, প্রবল বন্যায় বন্যপ্রাণী মৃত্যুর খবর নেই। তবে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, এই বন্যায় ৩৮ হাজারের বেশি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করেছে, যা প্রায় এক লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৭ জনকে প্রভাবিত করেছে। এই বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৮২১ টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার কারণে অবিরাম আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রত্যেকের উপর প্রভাব ফেলতে থাকে। সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, বন বিভাগ দুর্যোগ দ্বারা সৃষ্ট তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য তার দ্রুত টাস্ক টিমকে একত্রিত করেছে। এই দলটি পতিত গাছের কারণে রাস্তা অবরোধ দূর করতে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিল। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বনদপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক।