স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ সেপ্টেম্বর : সুশাসন জামানায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দুঃশাসন। জমি মাফিয়া, নিগো মাফিয়া, ক্লাব কমিটির মাফিয়া সহ দুঃশাসনের সৈনিকরা দিকে দিকে মানুষের উপর অত্যাচার-নিপীড়ন নামিয়ে এনেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী সাধারণ মানুষ মোটা অর্থ মিটিয়ে না দিলে মারমুখী হয়ে উঠছে এই দুর্বৃত্ত বাহিনী। সবকিছু প্রশাসনিক থেকে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কাছে পর্যন্ত খবর থাকলেও কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে মানুষ।
রাতের বেলা ঘুম পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে তারা। স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ের কিছু নেতা এই দুর্বৃত্ত বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ঘটনা সংগঠিত করে চলেছে। যা আবারো প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। অভিযোগ ক্লাবের চাঁদা না দেওয়াতে সরকারি কাজে বাধা কমলাসাগরে। শুধু তাই নয় শ্রমিকদের মারধোর করে লুটেপুটে নিয়ে যায় মোবাইল ফোন ও নগদ ত্রিশ হাজার টাকা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত এক মাস যাবত সেকেরকোট ছনখলা ডি ডাব্লিউ এস -এর অধীন পানীয় জলের জন্য বাড়ি বাড়ি প্ল্যাটফর্মের কাজ চলছিল।
যথারীতি শ্রমিকরা একজন ঠিকাদারের অধীন থেকে সেই কাজ করছিলেন। তখন তাদের কাছে দুই লক্ষাধিক টাকা চাঁদা সহ দুই গাড়ি সিমেন্ট ক্লাবের উদ্দেশ্যে দেওয়ার জন্য দাবি করে। কিন্তু চাহিদা মত টাকা এবং সিমেন্ট না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার আচমকা এলাকার ক্লাবের দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। তাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। যারা এ ঘটনা সংঘটিত করেছে তারা সেকেরকোটের অরূপ ঘোষ, সুরজিৎ ঘোষ, কুডু, শোকেস এবং অভিজিৎ। শ্রমিকরা জানায় তাদের এসে মারধর করার পর পরবর্তী সময় ক্লাবে আবার তাদের নিয়ে মারধর করা হয়।
এখন তাদের ফোন করে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বলছে সেখানে কাজ করতে হলে তাদের ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। নতুবা কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আরো অভিযোগ বর্তমানে কাজ বন্ধ রেখে সেই অস্থায়ী অফিস ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় সেই কমলাসাগর বিধানসভার এই দুর্বৃত্তরা। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকাশ সবার হোক আর নাইবা হোক, বিকাশ হচ্ছে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে নেতাদের এবং ক্লাব কমিটির বড় মাথাদের। যাদের ছয় বছর আগে তিন বেলার খাবার জোটবে কিনা নিশ্চিত ছিল না, তারা এখন বাড়িতে রাজপ্রাসাদ গড়ে তুলেছে। তাদের হাতেই এখন বিকাশ ত্রিপুরা। তাদের রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি, দিনে বলছে সুশাসন, আর রাতে কচ্ছের দুঃশাসন। তবে সবটাই জনগণের অভিযোগ।