স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ সেপ্টেম্বর : বিকাশ ত্রিপুরায় সামাজিক ভাতা থেকে বঞ্চিত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। এছাড়াও দুই প্রবীণের জীবনের শেষ সময়ে ওষুধ খাওয়ার জন্য শেষ সম্বল সামাজিক ভাতা মিলছে না গত কয়েক মাস ধরে। এই অভিযোগ গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত যুগল কিশোর নগর রায়পাড়া এলাকায়। এলাকার রায়ধন সরকার এবং হিরনবাসী সরকার দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বৃদ্ধ ভাতা পেতেন এবং তারা সেই ভাতার টাকা দিয়ে প্রতিমাসে ঔষধ কেনার কাজে লাগাতেন।
কিন্তু গত চার মাস ধরে আচমকা কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাদের বৃদ্ধ ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা জম্পুইজলা আর ডি ব্লক এ গিয়ে পুনরায় ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন এবং ব্লক থেকে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাদের ভাতা নাকি খুব শীঘ্রই আবার চালু হয়ে যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন রায়ধন সরকার এবং হিরনবাসী সরকার। পাশাপাশি হিরনবাসী সরকারের ৬৪ বছরের ছেলে ঠাকুরধন সরকার গত এক বছর ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।
তিনিও ভাতার জন্য একাধিকবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন, তখন উনাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যেহেতু উনি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রুগী তাই খুব শীঘ্রই ভাতা প্রদান করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তিনিও ভাতা পাননি। ঠাকুরধন সরকার জানিয়েছেন তার পরিবার অত্যন্ত গরিব। যদি ভাতা পেতেন তাহলে অন্তত তিনি ঔষধ কিনতে পারতেন। কিন্তু উনার ভাগ্যে সেটাও জুটলো না। তবে দুই পরিবারের তিন ব্যক্তি ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পিছনে এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই বিশেষভাবে দায়ী করছে। সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে রায়ধন সরকার, হিরণবাসি সরকার এবং তার ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলে ঠাকুরধন সরকার রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানিয়েছেন সরকার যেন খুব শীঘ্রই তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়। এখন দেখার বিষয় দুই পরিবারের ভাগ্যে কবে সামাজিক ভাতা জোটে।