স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ সেপ্টেম্বর : বিকাশ ত্রিপুরায় শিক্ষাক্ষেত্রে হাব কল্পনায়, বাস্তবে তৈরি হয়নি শিক্ষা হাব। ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরের শিক্ষা অধিকর্তারা। তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ সহ বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করতে দেখা যায়। সোমবার সকাল ১১ টা বক্সনগর ব্লক অন্তর্গত উত্তর কলমচৌড়া ছাতিয়ানটিলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথমে দুজন শিক্ষককে লাইব্রেরী কক্ষে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
তারপর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা বক্সনগর – সোনামুড়া সড়ক অবরোধ করেন। টানা তিন ঘন্টা অবরোধ চলে। শত শত বাইক এবং গাড়ি আটকে যায়।পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। তারপর ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন রুখতে ছুটে আসেন ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের পক্ষ থেকে দুই জন শিক্ষক এবং কলমচৌড়া আরক্ষা কর্মীরা। ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের বলা হয় যে, বিদ্যালয়ের সমস্ত সমস্যা নিয়ে লিখিতভাবে দপ্তরকে জানানোর জন্য। সেই অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার অভিভাবকরা লিখিতভাবে সমস্যাগুলি ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের কাছে প্রেরণ করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, বিদ্যালয়ে মোট ১৬৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৬ জন থাকলেও প্রতিদিন দুজন করে উপস্থিত থাকেন। একজন ছুটিতে আছেন।
শিক্ষিকা ঋষিকা কর্মকার দপ্তরের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দুমাস ধরে স্কুলে আসে না।অতিসত্বর এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক শান্তা মনি দেববর্মার বিরুদ্ধে রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলে তারা।অতি দ্রুত প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবি করেন অবরোধকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাছাড়া শিক্ষক আব্দুল মুমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল কথাবার্তা বলে অভিযোগ রয়েছে স্মার্ট শিক্ষক আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধে। এছাড়া রয়েছে স্কুলের মধ্যকালীন অর্থাৎ মিড ডে মিলের অব্যবস্থা। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে এই মিড ডে মিল। সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে যেমন খুশি তেমন মিড ডে মিল প্রদান করেন স্কুলে। মিড ডে মিলের রান্নাঘরের অবস্থা খুবই বিপদজনক। তাই প্রধান শিক্ষক শান্তা মনি দেববর্মা এবং অভিযোগ কারী শিক্ষক আব্দুল মোমিনকে অবিলম্বে বদলি করে শাস্তি দাবি করেন ছাত্র-ছাত্রীরা এবং কলমচৌড়ার অভিভাবক মহল। ছাত্রছাত্রীরা এক সপ্তাহ বেঁধে দিয়ে আন্দোলন উঠিয়ে নেন। এই সমস্ত সমস্যা সমাধান নাহলে আগামীদিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে জানান ছাত্রছাত্রীরা। এখন দেখার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে সাড়া দিয়ে কি ভূমিকা গ্রহণ করেন।